দেশে দ্বিতীয় দফায় পৌরসভা নির্বাচনে মেহেরপুরের গাংনীতে জমে উঠেছে প্রচার। শহরজুড়ে চলছে মাইকিং। ব্যানার-ফেস্টুন আর পোস্টারে ছেয়ে গেছে পৌর শহর।
এদিকে শেষ সময়ের নির্বাচনি প্রচার নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আহমেদ আলীর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছেন সম্প্রতি যুবলীগ থেকে অব্যাহতি পাওয়া বর্তমান মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম।
তার অভিযোগ, নৌকার প্রার্থী আহমেদ আলী বহিরাগত সন্ত্রাসী ও দাগি আসামিদের নিয়ে তার সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। তার নির্বাচনি ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। ভাঙচুর করা হয়েছে মাইক।
আওয়ামী লীগের প্রার্থীর উদ্দেশে আশরাফুল বলেন, ‘বতর্মান সরকার গণতন্ত্র ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে বিশ্বাসী, তাই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলবেন না। দল আপনাকে মনোনয়ন দিয়েছে; আপনাকে আমি স্বাগত জানাই। মাঠে গিয়ে কাজ করেন। জনগণ যদি আপনাকে জয়যুক্ত করে, সে রায় আমি মাথা পেতে নেব।’
তিনি আরও বলেন, ‘গতবার স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করে জয়ী না হলে আজ এই চেয়ারে অন্য দলের লোক থাকত, যা বতর্মান সরকারের উন্নয়নে ব্যাঘাত ঘটাতে পারত।’
নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ তৈরির জন্য প্রশাসনের কাছে অনুরোধও জানান তিনি।
সাবেক যুবলীগ নেতার অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আহমেদ আলী। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আশরাফুল ইসলাম যেসব অভিযোগ তুলেছেন তা ভিত্তিহীন। দল থেকে মনোনয়ন না পাওয়ায় প্রলাপ বকছেন বর্তমান মেয়র।’
আহমেদ আলী আরও বলেন, ‘উনি (আশরাফুল ইসলাম) গত নির্বাচনে নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী থাকায় দলীয় শৃঙ্খল ভঙ্গের দায়ে হয়ত মনোনয়ন পাননি। তবে দলের স্বার্থে এক হয়ে কাজ করার সুযোগ আছে।’
এদিকে বিএনপির ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী আসাদুজ্জামান বাবলু বলেন, ‘এখন পর্যন্ত নির্বাচনের পরিবেশ ভালো আছে। নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে বিএনপি অর্থাৎ আমার জয় সুনিশ্চিত।’
নির্বাচন শেষ না হওয়া পর্যন্ত শান্তিপূর্ন অবস্থা বজায় রাখতে প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।
আগামী ১৬ জানুয়ারি এ পৌরসভায় নির্বাচন হবে। এতে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন পাঁচ মেয়র প্রার্থী।
নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে ৪০ জন এবং সংরক্ষিত আসনে রয়েছেন ১০ প্রার্থী।