বাহন হিসেবে গরুর গাড়ির ব্যবহার এখন ইতিহাস। তবে গরুর গাড়ির দৌড় প্রতিযোগিতা এখনও আগ্রহের বিষয় ঝিনাইদহের মানুষের কাছে।
রোববার গরুর গাড়ির এমন প্রতিযোগিতা দেখতে সদর উপজেলার বেতাই গ্রামের মাঠে জড়ো হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। এতে অংশ নেয় যশোর, ঝিনাইদহ, মাগুরা ও চুয়াডাঙ্গা জেলার ৩৮টি গরুর গাড়ি।
অনুষ্ঠানের আয়োজক গান্না ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাব বলেন, ‘গত ৯ বছর ধরে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। এলাকার মানুষকে আনন্দ দেয়ার জন্য ও গ্রামবাংলার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।’
ঝিনাইদহ শহর থেকে গরুর গাড়ির দৌড় দেখতে এসেছিলেন রুবেল হোসেন।
তিনি বলেন, ‘গরু গৃহপালিত প্রাণী। মানব জীবনে এর উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। কিন্তু গরুর গাড়ির দৌড় যে মানুষকে আনন্দ দিতে পারে তা এখানে না এলে বোঝা যাবে না।’
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু বলেন, ‘গান্না এক সময় সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য ছিল। সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। এখন মানুষ গান্নায় বিনোদনের জন্য আসে।’
প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খালিশপুরের আবু সাঈদের গরুর গাড়ি। পুরস্কার হিসেবে সাঈদকে একটি গরু দেয়া হয়।
দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে যশোর বাঘারপাড়া উপজেলার খালিদুর রহমানের গাড়ি। তাকে দেয়া হয় একটি বাইসাইকেল।
তৃতীয় স্থান অধিকার করে বেতাই গ্রামের আমিরুল খাঁর গাড়ি। তাকে একটি ছাগল উপহার দেয়া হয়।