নাটোরের নলডাঙ্গায় এক গৃহবধূকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের মামলায় গ্রেপ্তার স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাসহ দুই জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
শনিবার দুপুরে নাটোরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক তানযীম আলম তাবাসসুম এ আদেশ দেন।
এর আগে শুক্রবার রাতে মামলার দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা হলেন উপজেলার পিপরুল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বাঁশভাগ পূর্বপাড়া গ্রামের ইব্রাহীম দেওয়ান ও একই এলাকার বকুল হোসেন। মামলার অপর আসামি একই গ্রামের রেজাউল করিম পলাতক।
নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, গত বছরের ৩ অক্টোবর নলডাঙ্গা উপজেলার ওই গৃহবধূ ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) কার্ড করে দেয়ার জন্য ইব্রাহীমের কাছে যান। পরে ইব্রাহীম কৌশলে তাক পাশের এক বাড়িতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। এ কাজে তাকে সহযোগিতা করে বকুল ও রেজাউল মোবাইলে ভিডিও ধারণ করেন। সম্প্রতি ভিডিওটি স্থানীয় কয়েকজনের মোবাইলে ছড়িয়ে পড়ে।
পুলিশ সুপার আরও জানান, ইব্রাহীমের হুমকি ও নজরদারি এড়িয়ে তিন মাস পর গত শুক্রবার রাতে নলডাঙ্গা থানায় তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন গৃহবধূ। রাতেই বাঁশভাগ গ্রাম থেকে ইব্রাহীম ও বকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অপর অভিযুক্ত রেজাউলকে ধরতে অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
স্থানীয়রা জানান, ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে সালিশের নামে প্রতারণা, ছিনতাই, সুদ ও মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
পিপরুল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কলিম উদ্দিন জানান, ইব্রাহিমের এ ধরণের কর্মকাণ্ড শাস্তিযোগ্য।
এ ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।