শেরপুরের চাঁদা পেয়ে একটি পোলট্রি খামারে হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে আহত হয়েছেন খামার মালিক ও তার পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার চরপক্ষীমারী ইউনিয়নের দিকপাড়া গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন পোলট্রি মুরগির খামারি মাসুদ রানা জনি, তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার লিমা, মাসুদ রানার পিতা হাফিজুর রহমান হেলাল ও মা মাসুদা বেগম।
এ দিন রাতে জনির শ্বশুর হাতেম আলী বাদী হয়ে সাত জনের নামের ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, প্রবাসফেরত মাসুদ রানা জনি বছর দশেক আগে একটি পোলট্রি খামার গড়ে তোলেন। জনি লাভবান হওয়ার পাশাপাশি অনেকের কর্মসংস্থানও হয়। এতে স্থানীয় ঈর্ষান্বিত হয়ে মিনাছ আলীসহ কিছু দুর্বৃত্ত চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেয়ায় তারা খামারে বেশ কয়েকবার বিষ প্রয়োগ করে।
এজাহারে আরও বলা হয়, ৬ জানুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ভোরে খামারে বিষ দেয়ায় কয়েকশ মুরগি মারা যায়। ক্ষতিগ্রস্ত জনি সদর থানায় অভিযোগ করলে শুক্রবার পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করতে আসে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে এ দিন সন্ধ্যায় মিনাছ আলী, আনাছ আলী ও স্বপন মিয়া, হযরত আলী, শফিকুল ইসলাম সিফাত, স্বপ্না বেগমসহ অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা জন ধারাল অস্ত্র নিয়ে জনিসহ তার পরিবারের ওপর হামলা চালায়।
এজাহারে বলা হয়, হামলায় জনি, তার বাবা-মা ও স্ত্রী আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এদের মধ্যে লিমার অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মামলার অন্যতম আসামি হযরত আলীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।