বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কাউন্সিলেরর বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগে মানববন্ধন

  •    
  • ৮ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:৩৯

পৌর মেয়র জানান, পৌরসভার একটি রাস্তাকে স্থানীয়রা নিজেদের জমি দাবি করেন। এ নিয়ে পৌরসভায় বিচারও চলছে। দেয়াল তোলার খবরে কাউন্সিলরকে সেখানে পাঠান তিনি।

ব্যবসায়ীর দোকান ও বাড়িতে হামলার অভিযোগ তুলে জামালপুর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহরিয়ার আলম ইদুর শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী।

শহরের নিউ কলেজ রোডে শুক্রবার দুপুরে ‘সর্ব স্তরের সচেতন জনগণ’ ব্যানারে এই কর্মসূচি পালন করেন তারা।

সেখানে ওই ওয়ার্ডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী এ কে এম জহুরুল ইসলাম মনছুর অভিযোগ করে বলেন, ‘কাউন্সিলর ইদু অনেক দিন থেকেই আমাদের কাছে চাঁদা দাবি করে আসছিল। তাকে চাঁদা না দেয়ায় গত ৬ জানুয়ারি দুপুরে আমার কলেজ রোডের চালের দোকানে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা ভাঙচুর চালায়। আমাকেসহ আমার লোকজনকে মারধর করে। স্থানীয়রা বাধা দিলে সেখান থেকে গিয়ে আমার কাচারি পাড়ার বাসায় হামলা চালায় ইদু। সেখানেও ভাঙচুর করে তার লোকজন।’

এ ঘটনায় ইদুকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন মানববন্ধনের বক্তারা।

তবে কাউন্সিলর ইদু নিউজবাংলাকে জানান, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে পৌরসভার রাস্তার ওপর শাহজাহান নামের এক ব্যক্তি দেয়াল নির্মাণ শুরু করেন। মেয়রের নির্দেশেই সেখানে গিয়ে শাহজাহানকে দেয়ালের কাজ বন্ধ করতে বলেন তিনি।

‘শাহজাহান সাহেবের পক্ষ নিয়ে কাচারি পাড়ার বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম জুলহাস ও তাদের লোকজন আমার ওপর হামলা করে। আমি প্রাণে বেঁচে গেলেও আমার গাড়িটি তারা ভাঙচুর করে।’

স্থানীয়দের অভিযোগের বিষয়ে ইদু বলেন, দেয়াল তুলতে বাধা দেয়ায় তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন বলে জানান ইদু।

ইদুকে ঘটনাস্থলে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করে পৌর মেয়র মির্জা সাখাওয়াতুল আলম মনি নিউজবাংলাকে বলেন, পৌরসভা ওই রাস্তাকে স্থানীয়রা নিজেদের জমি দাবি করে। এ নিয়ে পৌরসভায় বিচারও চলছে। এ কারণে দেয়াল তোলার খবরে কাউন্সিলরকে সেখানে পাঠান তিনি।

সেখানে হামলা-ভাঙচুরের দায় তার না জানিয়ে মেয়র বলেন, এটা কাউন্সিলরের ব্যক্তিগত বিষয়। তবে দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি মীমাংসার চেষ্টা চলছে বলে জানান মেয়র মনি।

অভিযোগকারী ব্যবসায়ী মনছুর বলেন, জমির ব্যাপারে তিনি নেই। চাঁদাবাজির ঘটনা ধামাচাপা দিতেই কাউন্সিলর এসব বলছেন।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম খান জানান, দুই পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগ দুটিই মামলা হিসেবে রুজু করা হয়েছে। এখন আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর