হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে আলোচিত আইনজীবী ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনের এক বক্তব্য নিয়ে তুমুল আলোচনা চলছে।
প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে স্থানীয়ভাবে কটাক্ষকর এক শব্দের ব্যবহার করেন তিনি, যা নিয়ে বিরোধীরা তাকে আক্রমণ করছেন।
সুমন অবশ্য দাবি করেছেন, বিএনপি প্রার্থীই প্রথমে ওই শব্দের ব্যবহার করেন। তিনি এর জবাব দিয়েছেন মাত্র।
আলোচনা হবিগঞ্জর আঞ্চলিক ভাষায় ‘বইতল’ শব্দের ব্যবহার নিয়ে।
কারও ‘ঠিক ঠিকানা নেই’ বা ভবঘুরে বোঝাতে গিয়ে হবিগঞ্জবাসী বইতল শব্দের ব্যবহার করেন যদিও তা মানুষ ভালোভাবে নেয় না।
আগামী ১৬ জানুয়ারি এই পৌরসভায় ভোট হবে। নৌকা নিয়ে লড়ছেন আওয়ামী লীগের গোলাম রসুল রাহেল চৌধুরী, ধানের শীষ নিয়ে আছেন বিএনপির ছাবির আহমেদ চৌধুরী।
নৌকার পক্ষে এলাকায় ব্যাপক প্রচার চালাচ্ছেন ব্যারিস্টার সুমন।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ও রাতে দুটি প্রচারণা সভায় বক্তব্য রাখেন সুমন।
সন্ধ্যায় নতুন বাজার মোড়ে তিনি অভিযোগ করেন, তাদের প্রার্থী গোলাম রসুল রাহেল চৌধুরীকে ‘বইতল’ আখ্যা দিয়েছেন বিএনপির প্রার্থী।
রাহেল চৌধুরীর জন্ম নবীগঞ্জ উপজেলাতেই। তবে তা পৌর এলাকায় নয়। তবে তিনি বহু বছর ধরে পৌর এলাকার বাসিন্দা।
সুমন বলেন, ‘রাহেল নবীগঞ্জ জন্মগ্রহণ করেও যদি বইতল হন তাহলে নবীগঞ্জের ওসি, ইউএনও এবং প্রবাসীরাও তো বইতল।’
রাত সাড়ে ১২টার দিকে অন্য একটি সভায় সুমন বলেন, ‘রাহেল বইতল হলে কানাডার শতভাগ মানুষ বইতল, লন্ডনের ৮০ শতাংশ বইতল।’
ব্যারিস্টার সুমনের এই বক্তব্যে বিএনপির স্থানীয় কর্মীরা ক্ষোভ প্রকাশ করছেন সামাজিক মাধ্যমে।
বিএনপির প্রার্থী ছাবির আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় কোনো ধরনের সমস্যা ছিল না। আওয়ামী লীগ প্রার্থী এবং আমি নিজেদের মতো করে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু বৃহস্পতিবার ব্যারিস্টার সুমন নবীগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় এসে নির্বাচনের মাঠ উত্তপ্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে এবং অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে ভাইরাল হতে চাইছেন।’
তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে বইতল বলেছেন বলে সুমন যে অভিযোগ করেছেন, তা অসত্য দাবি করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমি কি অভদ্র নাকি যে আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে বইতল বলব?’
এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার সুমনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার সহকারী ফোন ধরেন। তিনি বলেন, ‘উনি এখন ব্যস্ত আছেন। পরে কথা বলবেন।’