মাগুরায় প্রার্থনা রানী হত্যাকাণ্ডের মামলায় স্বামীকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা দিয়েছে আদালত। জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক প্রণয় কুমার দাশ বৃহস্পতিবার দুপুরে এ রায় দেন।
দীর্ঘ ১৩ বছর পর এই হত্যার রায় হলেও আসামি এখনও পলাতক।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া অসিত কুমার বিশ্বাস শ্রীপুর উপজেলার খামারপাড়া গ্রামের নিত্য গোপাল বিশ্বাসের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, প্রার্থনা রানী একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নিয়ে ২০০৬ সালের দিকে মাগুরার শ্রীপুরে আসেন। শ্রীপুরের খামারপাড়া এলাকায় নিত্য গোপাল বিশ্বাসের বাড়িতে ভাড়া থাকার সময় বাড়িওয়ালার ছেলে অসিত বিশ্বাসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে গড়ে ওঠে। পরবর্তী সময়ে তাঁরা বিয়ে করে একসঙ্গে বসবাস করতে থাকেন।
শ্বশুরবাড়ির লোকদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় পাশের হরিন্দী গ্রামে আবদুল মান্নানের বাড়ি ভাড়া করে আলাদা বসবাস করছিলেন তাঁরা। এই দম্পতির এক মেয়ে ও এক ছেলে রয়েছে।
পেশায় স্বর্ণকার অসিত বিশ্বাস স্ত্রীকে তার বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা এনে দিতে চাপ দিয়ে আসছিলেন। সবশেষ যৌতুকের টাকার দাবিতে গত ২০০৮ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রাতে অসিত বিশ্বাস স্ত্রীকে মারধর করে গায়ে আগুন দিয়ে হত্যা করেন।
পরদিন ২ ফেব্রুয়ারি নিহত প্রার্থনার মামা গৌতম কর শ্রীপুর থানায় অসিত বিশ্বাস ও তার মা নিভা রানীকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি আব্দুর রাজ্জাক বলেন,‘সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক অসিত বিশ্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় অসিতের মা নিভা রানীকে খালাস দেয়া হয়েছে।’
তিনি আরও জানান, মামলা চলাকালীন আসামি অসিত কিছুদিন কারাগারে ছিলেন। পরে আদালত থেকে জামিন নিয়ে আত্মগোপনে চলে যান।