ঝিনাইদহে শীতের তীব্রতার সঙ্গে বেড়েছে শীতজনিত রোগের প্রকোপ। বেড়েছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও। দেখা দিয়েছে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগ। আর এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা।
বুধবার সকালে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রোগী ভর্তি ছিল ৬০ জন। ওয়ার্ডে স্থান সংকুলান না হওয়ায় পেয়িং বেডে রোগীর চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শয্যার তুলনায় ছয় গুণ বেশি রোগী ভর্তি হওয়ায় চিকিৎসা দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. হারুন-অর রশিদ জানান, জেলা সদর হাসপাতালে গত এক সপ্তাহে চার শতাধিক শিশু চিকিৎসা নিয়েছে। প্রতিদিন শিশু ওয়ার্ডে গড়ে ২০ জন শিশু ভর্তি হচ্ছে। এছাড়াও আউটডোর ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রাম থেকে আসা আনিস নামের এক শিশুর স্বজন বলেন, ‘রোববার রাতে হঠাৎ কইরেই বাবু বমি করা শুরু করে। রাত দুইটার দিকে পাতলা পায়খানা শুরু হয়। সোমবার সকালে ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করিছি। এখন ইকটু ভালো আছে।
শৈলকুপা উপজেলার দুধসর গ্রামের নাছরিন বলেন, ‘রাত থেকে মুনিরের পেট নামা শুরু হয়ছে। সকালে হাসপাতালে আনিছি। ডাক্তার দেকে গেল। স্যালাইন খাওয়াতি কলো (বলল)। ওষুধ দেছে।’
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘শীতের সময় রোটা ভাইরাসের কারণে শিশুরা ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয় বেশি। রোটা ভাইরাস থেকে দূরে থাকতে হলে অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। বাড়ির আশপাশ পরিষ্কার রাখতে হবে। ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে স্যালাইন খাওয়াতে হবে সঠিক নিয়মে।’