নওগাঁর নিয়ামতপুরে এক গৃহবধূকে মারধর করে চুল কেটে নেয়ার ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে উদ্ধার করে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
চাহিদামতো যৌতুক না পেয়ে নির্যাতনের অভিযোগ এনে গৃহবধূর মা বাদী হয়ে বুধবার সকালে নিয়ামতপুর থানায় মামলা করেন। দুপুরেই গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ১৬ বছর আগে উপজেলার ভাবিচা ইউনিয়নের আমইল সোনারপাড়া গ্রামের মৃত আছির উদ্দিনের ছেলে আব্দুর রাজ্জাকের সঙ্গে বিয়ে হয় নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য প্রায়ই বিভিন্নভাবে ওই গৃহবধূকে নির্যাতন করতেন তার স্বামী।
গত ১৫ ডিসেম্বর গৃহবধুর শাশুড়ি মোসাম্মৎ রহিমা (৫০) এর প্ররোচনায় স্বামী আব্দুর রাজ্জাক পুনরায় যৌতুক দাবি করেন। এ নিয়ে কলহের একপর্যায়ে তিনি স্ত্রীকে মারধর করে মাথার চুল কেটে দেন। শুধু তাই নয়। তিনি স্ত্রীকে কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেন না। গৃহবধূর মা দেখা করতে চাইলে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আপনার মেয়ে ভালো আছে। আগে যৌতুকের টাকা নিয়ে আসেন, তারপর দেখা করেন।
এরপর মঙ্গলবার দুপুরে যৌতুকের দাবিতে ওই গৃহবধূর ওপর আবারও আব্দুর রাজ্জাক শারীরিক নির্যাতন চালায়। প্রতিবেশীর মাধ্যমে গৃহবধূর মা হাফেজা বিবি খবর পেয়ে সন্ধ্যায় গৃহবধুর সঙ্গে দেখা করতে গেলে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়া হয়।
গৃহবধূর মা বুধবার সকালে মামলা করলে পুলিশ তাৎক্ষণিক ফোর্স পাঠিয়ে গৃহবধুকে উদ্ধার করে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
নিয়ামতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, 'নির্যাতনের ঘটনায় গৃহবধূর মা থানায় বুধবার দুপুরে একটি মামলা করেছেন। মামলা হওয়ার পর-পরই অভিযান চালিয়ে গৃহবধূর স্বামী ও শাশুড়িকে গ্রেপ্তার করে বুধবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।'