কিশোরগঞ্জের ভাটি এলাকা ইটনা উপজেলায় পটকা মাছ খাওয়ার পর এক দম্পতির মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের তিন কন্যাও হাসপাতালে ভর্তি। তাদের অবস্থা গুরুতর।
তারা হলেন ইটনা উপজেলার মৃগা গ্রামের ৫৫ বছর বয়সী কৃষক হেমেন্দ্র মালাকার ও তার ৪৫ বছর বয়সী স্ত্রী সঞ্চিতা মালাকার।
হেমেন্দ্রর ভাতিজা প্রান্ত মালাকার নিউজবাংলাকে জানান, মঙ্গলবার তারা পটকা মাছ রান্না করে খেয়েছিলেন। রাতেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। রাত দুইটার দিকে তাদেরকে ইটনা হাসপাতালে নেয়ার পথে হেমেন্দ্র মারা যান।
স্ত্রী সঞ্চিতাকে ইটনা থেকে কিশোরগঞ্জ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। বুধবার বিকাল পাঁচটার দিকে তিনিও মারা যান।
এই দম্পতির তিন মেয়ে হিমা মালাকার, তমা মালাকার ও প্রিমা মালাকার শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তাদের অবস্থাও খুব একটা ভালো নয় বলে প্রান্তকে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
পটকা মাছ খেয়ে প্রায়শই মৃত্যুর তথ্য আসে গণমাধ্যমে। মৎস্য অধিদপ্তরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ইউসুফ খান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পটকা মাছের গ্ল্যান্ডে এক ধরনের পয়জন (বিষ) থাকে। এটা যদি অপসারণ করে খাওয়া যায়, তাহলে কিছু হয় না। কিন্তু আমাদের দেশের অনেকেই এই বিষয়টি জানে না। তারা বিষথলি না ফেলেই মাছটি খেয়ে থাকে। এ কারণেই তাদের মৃত্যু হয়।’
ইটনার যে এলাকায় এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, সেখানে মাছের প্রাচুর্য রয়েছে। তার পরেও পটকা মাছ কেন তারা খেতে গেলেন, এ নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে কথা উঠেছে।