রাজশাহীর পুঠিয়ায় মাদকের কারণে স্ত্রী ও পাঁচ মাস বয়সী সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন ফিরোজ মণ্ডল।
জেলা আমলি আদালত-৩ এ বুধবার বিকেলে বিচারক রাসেল মাহমুদের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন তিনি।
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম বুধবার নিউজবাংলাকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আদালতকে ফিরোজ জানান দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত তিনি। এ নিয়ে স্ত্রী পলি বেগমের সঙ্গে প্রায়ই কলহ হতো তার। সবশেষ সোমবার মাদক কেনার টাকার জন্য স্ত্রীর কাছে স্বর্ণের কানের দুল ও নাকফুল চেয়েছিলেন তিনি। এ নিয়ে বাক-বিতণ্ডার এক পর্যায়ে পলিকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেন তিনি।
ধস্তাধস্তির সময় পাঁচ মাসের মেয়ে ফারিয়াও বালিশের নিচে চাপা পড়ে বলে আদালতকে জানান ফিরোজ। পাশেই ছিল তাদের আরেক সন্তান আড়াই বছরের ফাহিম আলী।
পলি ও ফারিয়া নিস্তেজ হয়ে পড়লে স্বর্ণের কানের দুল ও নাকফুল নিয়ে পালিয়ে যান ফিরোজ।
এর আগে মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর গাবতলী এলাকা থেকে ফিরোজকে আটক করে দারুস সালাম থানা পুলিশ। বিকেলে পুঠিয়া থানা পুলিশের একটি দল তাকে পুঠিয়া নিয়ে যায়। ওসি রেজাউল জানান, রাতেই জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার অভিযোগ স্বীকার করেন ফিরোজ।
পুঠিয়া পৌর এলাকার গোপালহাটি ফকিরপাড়ার বাড়িতে সোমবার রাতে পাওয়া যায় ফিরোজের স্ত্রী পলি বেগম ও মেয়ে ফারিয়ার মরদেহ।
ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন ফিরোজ। তাকে আটকের পর মঙ্গলবার রাতে নিহত পলি বেগমের ভাই কাজল বাদী হয়ে পুঠিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন।
ওই মামলায় আসামি করা হয় ফিরোজ, তার বাবা হাসিব আলী ও মা চায়না বেগমকে।
ওসি রেজাউল জানান, অপর দুই জনকেও মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদেরও বিকালে আদালতে তোলা হয়েছে। তিন আসামিকেই কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।