কুষ্টিয়া শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর ভাঙচুর করা হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্য। সেই জায়গায় এখন নির্মাণ করা হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর তিন ভাস্কর্য।
হাতুড়ি দিয়ে ভাঙা প্রথম ভাস্কর্যটি মেরামত করা হয়েছে। প্রকল্প অনুযায়ী বসানো হয়েছে আরও দুটি ভাস্কর্য। তিন দিকে মুখ করা বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ, স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের অভিবাদন ও ৬ দফা পাঠ এ তিনটি ভাস্কর্যের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
আগামী ৭ই মার্চ অনুষ্ঠান করে ভাস্কর্যগুলো উদ্বোধনের পরিকল্পনা রয়েছে কুষ্টিয়া পৌরসভার।
বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন অভিবাদনের প্রতিকৃতি। ছবি: নিউজবাংলাসর্বশেষ জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসের দিকে মুখ করা বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা পাঠরত অবস্থার ভাস্কর্যটি বসানো হয় গত সপ্তাহে। এটি তুলনামূলক নিচু। তবে এ রাস্তা দিয়ে যারা পাঁচ রাস্তার মোড়ের দিকে আসছেন তাদের চোখে পড়বে ভাস্কর্যটি।
থানা মোড় থেকে পাঁচ রাস্তার দিকে আসতে দেখা যাবে সবচেয়ে উঁচু ভাস্কর্য, যা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের অভিবাদনের জবাব দেয়ার প্রতিকৃতি। এটি ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে বসানো হয়।
মজমপুর থেকে শহরের দিকে প্রবেশ করার সময় দেখা যাবে বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের প্রতিকৃতি। এ ভাস্কর্যটিই প্রথমে বসানো হয়। গত ৫ ডিসেম্বর রাতের আঁধারে এর মুখায়ব ও তর্জনি ভেঙে ফেলেন দুই জন। ভাস্কর্যটি মেরামতও করা হয়েছে।
মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে বঙ্গবন্ধুর তিনটি ভাস্কর্য বসানোর সিদ্ধান্ত নেয় কুষ্টিয়া পৌরসভা।
সে অনুযায়ী দরপত্রের মাধ্যমে ৩০ লাখ টাকার এই কাজ পান ভাস্কর মাহবুব জামাল শামীম। ওই বছরের অক্টোবরের শেষের দিকে তাকে সাইট বুঝিয়ে দেয়া হয়। লক্ষ্য ছিল, ১৬ ডিসেম্বর জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতিসহ ভাস্কর্য তিনটি উদ্বোধন করা হবে।
বঙ্গবন্ধুর ৬ দফা পাঠ করার প্রতিকৃতি। ছবি: নিউজবাংলা১৩ই নভেম্বর শুরু হয় বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণের প্রতিকৃতি বসানোর কাজ। প্রথমটি বসানোর শেষের দিকে ৫ ডিসেম্বর রাতে হাতুড়ি দিয়ে এটির কিছু অংশ ভাঙা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ভাস্কর্য ওই অবস্থায় রেখে দ্বিতীয় ভাস্কর্যটি (বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতিকৃতি) বসানোর কাজ শুরু হয়।
কুষ্টিয়া পৌরসভার প্রধান প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, ‘তৃতীয় ভাস্কর্য বসানোর কাজ শেষের দিকে। প্রথম ভাস্কর্যটিও মেরামত করেছেন ভাস্কর মাহবুব জামাল শামীম।
‘মেরামত করার পর আর বোঝা যাচ্ছে না যে, এটি ভাঙা হয়েছিল। নিচের দিকে জাতীয় চার নেতার প্রতিকৃতি বসানো হলেই শেষ হবে পুরো কাজ।’
এ ভাস্কর্য কুষ্টিয়া শহরের সৌন্দর্য ও আভিজাত্য বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেন প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম।