দুর্নীতির দায়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের বরিশালের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর অফিস সহকারী ও মুদ্রাক্ষরিক এ কে এম সেলিম হাওলাদারকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
সেইসঙ্গে ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও বরিশাল নগরের আলেকান্দা মৌজায় তার স্ত্রীর নামে করা চারতলা বাড়ি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছে আদালত।
সেলিমের উপস্থিতিতে মঙ্গলবার এ রায় দেন বরিশাল বিভাগীয় বিশেষ আদালতের বিচারক মহসিনুল হক।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী হারুন অর রশিদ জানান, অভিযোগ প্রমাণ হওয়ায় দুর্নীতি দমন আইন ২০০৪ এর ২৬(২) ধারায় দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ২৭ (১) ধারায় তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া ৫০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও স্ত্রীর নামের বাড়ি বাজেয়াপ্ত করার আদেশও দেয়া হয়েছে।
সেলিমের স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে অর্থদণ্ডের টাকা আদায় করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেয়া হবে। আর স্ত্রীর নামে বাড়ি বাজেয়াপ্ত করতে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর মাছুদুল হক খান জানান, সেলিমের বিরুদ্ধে ২০১১ সালের ১৮ এপ্রিল কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক ওয়াজেদ আলী গাজী।
অভিযোগে বলা হয়েছে, সেলিমের কাছে স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব চেয়ে দুদক নোটিশ দিলে, ২০০৯ সালের ৩ ডিসেম্বর হিসাব দাখিল করেন তিনি। সেখানে আলেকান্দা মৌজায় ১১ শতক জমিতে নির্মিত চারতলা বাড়ির খরচ দেখায় ২৭ লাখ ২৭ হাজার ২১৫ টাকা।
হিসাব বিবরণী যাচাই করতে গিয়ে সওজের চার সদস্যর কমিটি ২০১০ সালের পয়লা মার্চ বাড়িটি মেপে ২৭ মার্চ এর ব্যয় ৬৭ লাখ ৬৮ হাজার ৭৩৫ টাকা বলে প্রতিবেদন দেয়। হিসাব বিবরণীতে ৩৪ লাখ ৪১ হাজার ৫২০ টাকার হিসাব গোপন করেন সেলিম।
এ ছাড়া ১৯৭৯ সালের ৮ মার্চ হতে ২০১০ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সেলিমের আয়-ব্যয় বিবরণী যাচাই করে তদন্ত কমিটি দেখতে পায় ২২ লাখ ৭৩ হাজার ৫৯৮ টাকা আয়ের উৎস দেখাতে পারেননি সেলিম।
এ ঘটনায় দুদকের উপসহকারী পরিচালক তানভীর আহমদ ২০১৫ সালের ১৯ মে সেলিমের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেন।