হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যান, রেমা-কালেঙ্গা ও মৌলভীবাজারের লাউয়াছড়া সংরক্ষিত বনে মোটর সাইকেলের ব্রেক ও ক্লাচের তার দিয়ে ফাঁদ তৈরি করে তা দিয়ে বন্যপ্রাণী শিকার করা হচ্ছিল অনেকদিন ধরে। এ নিয়ে কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর দেশজুড়ে সমালোচনার জন্ম দেয়।
সমালোচনা ও চাপের মুখে বনকে ফাঁদমুক্ত করতে অভিযান শুরু করেছে বনবিভাগ।
মঙ্গলবার সকালে বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরীর নেতৃত্বে হবিগঞ্জের সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানে ৪০ জনের একটি দল অভিযান চালায়।
অভিযানে বনবিভাগের পাশাপাশি স্থানীয় সচেতন মানুষ ও বনের সুবিধাভোগী এলাকাবাসীও ছিলেন।
এ ব্যাপারে সাতছড়ি উদ্যানের রেঞ্জ কর্মকর্তা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বন্যপ্রাণী শিকার করতে শিকারীরা ফাঁদ তৈরি করে রাখে। এই ফাঁদ সরাতে আজকের অভিযান চালানো হয়েছে। আজকের অভিযান ছিল একদম চিরুনি অভিযানের মতো। অভিযানে ৬২টি ফাঁদ উদ্ধার করা হয়েছে।’
বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘৩০/৩৫ ফুট দূরত্ব বজায় রেখে আমরা সারা বন খুঁজব। একটি ফাঁদও যেন বনে না থাকে তার ব্যবস্থা করা হবে।
‘আগামী ১ ফেব্রুয়ারি আবারও সাতছড়িতে অভিযান চালানো হবে। পর্যায়ক্রমে রেমা-কালেঙ্গা ও লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যানে অভিযান চালানো হবে।’
ফাঁদে আটকে পড়া বন্যপ্রাণী। ছবি: নিউজবাংলা
রেমা-কালেঙ্গা বনের ফাঁদের বিষয়টি যিনি প্রথম আবিষ্কার করেন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক মুনতাসীর আকাশ।
তিনি বলেন, ‘এর চেয়ে সুন্দর কোনো উদ্যোগ হতে পারে না। বনবিভাগের এমন উদ্যোগের সাফল্য কামনা করছি।’