দিন কয়েক আগে সজীব মীরের সঙ্গে বিয়ে হয়েছে রুনা বেগমের। সেই বিয়ের বৌভাত ছিল মঙ্গলবার। নববধূর বাড়ি থেকে বর সজীবের বাড়িতে নিমন্ত্রণে যান ৪৮ স্বজন। তাদের আপ্যায়নে ছিল নানা আয়োজন। দুপুরের খাবার দিলে কনেপক্ষের এক স্বজন অভিযোগ করেন খাবারে তাকে মাংস কম দেয়া হয়েছে।
সেই মাংস কম দেয়া নিয়ে প্রথমে দুই পক্ষ তর্কে জড়ায়। পরে কনেপক্ষের সঙ্গে বরপক্ষের স্বজনদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এরই মধ্যে কনেপক্ষের মারধরে বরের চাচা আজহার মীর ঘটনাস্থলেই নিহত হয়।
বৌভাতে খাবারে মাংস কম দেয়াকে কেন্দ্র করে এই হত্যার ঘটনা ঘটেছে বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রফিয়াদি গ্রামে।
কনেপক্ষের ছয় জনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। ছবি: নিউজবাংলা
স্থানীয়রা জানান, কয়েক দিন আগে দক্ষিণ রফিয়াদি গ্রামের মোতাহার মীরের ছেলে সজীব মীরের সঙ্গে বরিশাল নগরীর কাউনিয়া সাবান ফ্যাক্টরি এলাকার আবুল কালাম হাওলাদারের মেয়ে রুনা বেগমের বিয়ে হয়। দুইদিন আগে রুনা বেগমকে বাবার বাড়ি থেকে শ্বশুর বাড়ি নেয়া হয় মঙ্গলবার। আয়োজন করা হয় বৌভাতের। কনে বাড়ি থেকে ৪৮ স্বজন সেই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ নেন। খাবার খাওয়ার একপর্যায়ে মাংস কম দেয়াকে কেন্দ্র করে কনে হাতাহাতি ও ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এক পর্যায়ে কনে পক্ষের মারধরে বরের চাচা আজহার মীর মারা যান।
চাঁদপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আনিসুর রহমান সবুজ খান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, স্থানীয়রা কনের বাবা আবুল কালাম হাওলাদারসহ ২০ জনকে আটকে রেখেছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের ওসি জাহিদ বিন আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘পুলিশ বরের বাড়ি গিয়ে ছয় জনকে আটক করে থানায় এনেছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।’
এখনও কোনো মামলা হয়নি, হলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।