ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করায় নন্দ রানী মালী নামে এক নারীকে সাত বছরের কারাদণ্ড, ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও পাঁচ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত।
মঙ্গলবার দুপুরে জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল ও জেলা জজ মো. রোস্তম আলী এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী ছিলেন সরকারি বিশেষ কৌঁসুলি ফিরোজা চৌধুরী। আসামি পক্ষের কৌঁসুলি ছিলেন কাজী রাব্বিউল হাসান মোনেম।
নন্দ রানীর বাড়ি জেলার কালাই উপজেলার বিয়ালা গ্রামে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২২ এপ্রিল নন্দ রানী বাদি হয়ে একই গ্রামের আবুল হায়াতের বিরুদ্ধে কালাই থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। পরে পুলিশ তদন্ত করে ঘটনাটি মিথ্যা বলে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। আসামি আবুলকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয়া হয়। এতে বাদি অসন্তোষ জানালে আদালত তা আমলে নেয়।
আদালত পুনরায় তদন্তের নির্দেশ দেয় পুলিশকে। সে তদন্ত প্রতিবেদনের ফলাফলও একই আসে।
মঙ্গলবার মামলাটির শুনানির তারিখ ছিল। বাদি নন্দ রানী আদালতে মামলাটি মিথ্যা বলে সাক্ষ্য দেন। পূর্ব শত্রুতার জেরে মামলাটি করা হয়েছিল বলে জানান তিনি।
পরে বিচারক মিথ্যা মামলা করার অভিযোগে নন্দ রাণীর বিরুদ্ধে রায় দেন।
নন্দ রানীকে জেলা কারাগারে পাঠায় ও আসামি আবুলকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেয় আদালত।