যশোরের কেশবপুরের এক শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার একমাত্র আসামি ইসমাইল হোসেন।
জেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম গৌতম মল্লিকের আদালতে সোমবার জবানবন্দি দেন ইসমাইল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক স্নেহাশীস দাশ এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কেশবপুরে বাবার নানার বাড়িতে থাকত ১০ বছরের ওই শিশু। সেই বাড়িতেই ২১ নভেম্বর সন্ধ্যায় ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ওড়নায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ। এ ঘটনায় শিশুটির পরিবারের পক্ষ থেকে কেশবপুর থানায় অপমৃত্যু (ইউডি) মামলা হয়।
পরে ময়নাতদন্তে ধর্ষণ ও হত্যার প্রমাণ পাওয়ায় শিশুটির বাবা ২৯ ডিসেম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পিবিআই উদ্যোগী হয়ে মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেয়।
তদন্ত কর্মকর্তা স্নেহাশীস আরও জানিয়েছেন, আত্মীয়তার সূত্রেই ঘটনার দিন ওই বাড়িতে বেড়াতে যান ইসমাইল। বিকেলে শিশুটিকে বাড়িতে একা পেয়ে ধর্ষণ করেন। শিশুটি চিৎকার করায় তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করেন ইসমাইল। পরে আত্মহত্যা বোঝাতে মরদেহ ঘরের আঁড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে দেন।
ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গত রোববার ইসমাইলকে পটুয়াখালীর কলাপাড়া থেকে আটক করে পিবিআই।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করলে তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার আদালতে পাঠানো হয়।