কুমিল্লায় ট্রেনের ধাক্কায় অটোরিকশায় থাকা স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যুর পাঁচ দিন পর মারা গেল তাদের দশ বছরের মেয়ে আঁখিও।
নগরীর শাসনগাছা রেলগেটে গত বুধবারের ওই দুর্ঘটনায় আহত হয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল আঁখি। সেখানেই সোমবার সকালে তার মৃত্যু হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করে আঁখির চাচা আবু তাহের মুন্সী জানান, হাসপাতালে ভর্তির সময় থেকেই সে অজ্ঞান ছিল। সোমবার সকালে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত দম্পতির নাম ফরিদ মুন্সি ও পেয়ারা বেগম। তারা কুমিল্লার দেবিদ্বারের গজারিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
দুর্ঘটনায় নিহত আঁখি। ছবি: নিউজবাংলা
ফরিদের ভাই তাহের জানান, নিজের চিকিৎসার জন্য স্ত্রী-মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে ওইদিন অটোরিকশায় কুমিল্লা মেডিক্যালে যাচ্ছিলেন ফরিদ। অটোরিকশা চালাচ্ছিলেন তাদের ভাগ্নে রকিবুল ইসলাম।
পথে শাসনগাছা রেলগেটে অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী মালবাহী ট্রেন। এতে অটোটি দুমড়ে-মুচড়ে ট্রেনের ইঞ্জিনের নিচে চলে যায়।
কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইসমাইল হোসেন সিরাজি জানিয়েছিলেন, ট্রেন যখন আসছিল, তখন রেললাইনের দুই পাশেই গেট নামানো ছিল। কিন্তু অটোরিকশাটি গেটের একটু দূরে একটা ফাঁকা জায়গা দিয়ে রেললাইনে উঠে যায়। তখনই ট্রেনের নিচে পড়ে সেটি।
আহতদের কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথেই ফরিদ মুন্সি মারা যান। কিছুক্ষণ পর মারা যান পেয়ারা। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিক্যালে পাঠানো হয় আঁখি ও রকিবুলকে।
সেখানেই পাঁচদিন চিকিৎসা নেয়ার পর মৃত্যু হয় স্কুলছাত্রী আঁখির। ঢাকা মেডিক্যালে চিকিৎসা নেয়ার পর এখন বাড়িতে আছেন অটোরিকশা চালক রকিবুল।
তাহের জানান, আঁখি মরদেহ কুমিল্লায় পৌঁছালে বাবা-মা’র পাশেই তাকে দাফন করা হবে।