কক্সবাজার পৌরসভা চত্বরে প্রতি শুক্রবার বসে বিভিন্ন ধরনের পশু-পাখির হাট। গত পাঁচ বছর ধরে এ হাটে হাঁস, মুরগি, কবুতর, খরগোশ, টার্কি, ময়না, লাভ বার্ড, টিয়া, কাঁকড়া, পাহাড়ি মুরগির মতো প্রাণী কেনাবেচা হয়। তবে হাটের মূল আকর্ষণ পায়রা। করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও এ পাখিটির কেনাবেচনা আছে আগের মতোই।
হাটের বিষয়টি মাথায় রেখে এখন অনেকেই গড়ে তুলেছেন পায়রার খামার। সেখানকার পায়রা বিক্রি করে ভাগ্যও ফিরেছে অনেকের।
হাটে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে বেচাকেনা। এতে প্রতি জোড়া দেশি কবুতর বিক্রি হয় ৭০০ থেকে দেড় হাজার টাকা পর্যন্ত। আর বিদেশি বিভিন্ন শৌখিন কবুতর দুই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়।
গত শুক্রবার হাটে গিয়ে দেখা যায়, করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও ক্রেতা সমাগম অনেক।
পায়রা বিক্রেতা মোস্তাক মিয়া জানান, তার বাসায় ২৩ জোড়া দেশি-বিদেশি পায়রা আছে। প্রতি মাসে সেগুলো বাচ্চা দেয়। আর তিন জোড়া পায়রা নিয়ে বিক্রি করতে এসেছেন হাটে।
তিনি জানান, প্রতি জোড়া বাচ্চা পায়রা বিক্রি করেন ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকায়। আর বড় কবুতরের মধ্যে দেশি জাতের পায়রা ৮০০ থেকে দেড় হাজার এবং বিদেশি জাতের পায়রা দুই হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়। এর মাধ্যমে ভাগ্য ফিরেছে তার।
হাটের আরেক বিক্রেতা মনজুর আলম জানান, তার দেশি জাতের পায়রা খামার আছে। প্রায় ৫০ জোড়া পায়রা রয়েছে খামারে। এ হাটে বেচাকেনা ভালো। তাই এখানে বিক্রি করতে আসেন তিনি।
হাটে পায়রা কিনতে আসা কলেজছাত্র ফয়সাল রিয়াদ বলেন, শখের বসে ছাদে খোপ বানিয়ে কবুতর পুষছেন। আগের সপ্তাহে হাট থেকে দুই জোড়া পায়রা কিনেছেন। এখন কলেজ বন্ধ। তাই অবসর কাটাতেই পায়রা পোষার উদ্যোগ নিয়েছেন।
ঐতিহ্যবাহী এ হাটের সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন ক্রেতা-বিক্রেতারা। পাশাপাশি প্রশাসনের উদ্যোগে স্থায়ীভাবে আরও বড় পরিসরে হাট বসার ব্যবস্থা করে দিতে পৌরসভা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।