নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগ, বিএনপি প্রার্থীর পাশাপাশি মাঠে আছেন জামায়াতে ইসলামীর স্বতন্ত্র প্রার্থী।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদের এলাকা কোম্পানীগঞ্জ। এখানে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনি মাঠে প্রচার চালাচ্ছেন বর্তমান মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। তিনি ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই।
বিএনপির প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন আরেক সাবেক মেয়র কামাল উদ্দিন চৌধুরী। তিনি এবার প্রার্থী হবেন না বলে ঘোষণা দেয়ার পর তিন জন বিএনপির মনোনয়ন চান। পরে মওদুদ আহমদ মনোনয়নপ্রত্যাশীদের নিয়ে বৈঠক করে কামাল চৌধুরীকেই প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেন।
বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করায় জামায়াতের পক্ষ থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে মাঠে নামেন মুহাম্মদ মোশাররফ হোসাইন। কেন্দ্রীয়ভাবে জোটের অংশীদার হওয়া সত্ত্বেও তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে বিএনপি প্রার্থী দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দলটি।
মোশাররফ হোসেন বলেন, নির্বাচনে জোটবদ্ধভাবে অংশ নেয়ার বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়নি। জামায়াতকে কোনো গুরুত্ব দেয়া হয়নি।
তিনি বলেন, এই এলাকায় জামায়াতের বড় ভোট ব্যাংক আছে। তাই নিজেদের শক্তির প্রমাণ দিতে তারা মাঠে নেমেছেন।
এ বিষয়ে বিএনপির উপজেলা কমিটির সভাপতি আবদুল হাই সেলিম বলেন, ‘এ নির্বাচন তো জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে জোটবদ্ধভাবে হচ্ছে না। তাই তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়নি।’
আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জার ধারণা, নির্বাচনের আগে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে পারে জামায়াত।
আর জামায়াত প্রার্থী মোশাররফ হোসাইন বলেন, ‘প্রশ্নই আসে না।’
নির্বাচনি পরিবেশ নিয়ে বিএনপি প্রার্থী কামাল উদ্দিন চৌধুরী বলেন, জাতীয় পর্যায়ের দুই নেতা মওদুদ আহমদ ও ওবায়দুল কাদেরের মধ্যে সৌহার্দ্য ও হৃদ্যতার সম্পর্ক আছে। তারা এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়েছেন নিজ নিজ দলের নেতা-কর্মীদের। তাই এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে নির্বাচনে কোনো প্রভাব বিস্তারের প্রশ্নই আসে না। মানুষ নিজেদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবেন।’
আগামী ১৬ জানুয়ারি বসুরহাট পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হবে।