ফরিদপুরের মধুখালীতে রাজু সাহা নামের এক যুবককে খুন হয়েছেন। ভবন নির্মাণকাজ নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে রাজমিস্ত্রিরা তাকে খুন করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
রোববার বিকালে উপজেলার জাহাপুর ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে রাজুর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মরদেহটি রাজমিস্ত্রিদের জন্য নির্মাণ করা শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকে ইটের খোয়া দিয়ে চাপা দেয়াছিল।
রাজু সাহা ঢাকায় ব্যবসা করতেন। ভবন নির্মাণকাজ দেখাশোনার জন্য বাড়ি এসেছিলেন।
রাজু সাহার মা অরুণা সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ চলছিল। শনিবার দিবাগত রাতে রাজুকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায় রাজমিস্ত্রি জসিম। রোববার সকালে ডাকতে গেলে মিস্ত্রিরা বলে রাজু সকালে বের হয়ে গেছে।’
তিনি আরও জানান, দুপুর হয়ে গেলেও রাজুর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তাকে খুঁজতে থাকেন। এদিকে সকাল থেকেই রাজমিস্ত্রিরা নানা সমস্যা দেখিয়ে ছুটি নিয়ে চলে যান। একপর্যায়ে দুপুরে নতুন নির্মাণাধীন ভবনে গিয়ে তারা রক্ত দেখতে পান। পরে খোঁজাখুঁজি করে নির্মাণাধীন ভবনের পাশে মিস্ত্রিদের জন্য নির্মাণ করা শৌচাগারের সেপটিক ট্যাংকে ইটের খোয়া দিয়ে চাপা অবস্থায় রাজুর মরদেহ দেখতে পান।
রাজু সাহার বড় ভাই সুমন সাহা জানান, ‘আমি ঢাকায় থাকি। সকালে ঢাকা থেকে অনেকবার রাজুকে ফোন দিই। কিন্তু রাজুর মোবাইল ফোন বন্ধ পাই। পরে অন্য মিস্ত্রিদের মোবাইলে যোগাযোগ করলে একেক জন একেক কথা বলে। ওদের কথায় সন্দেহ হলে বাড়ির লোকজন ও পাশের লোকজনকে মোবাইলে বিষয়টি জানালে তারা রাজুকে খোঁজ করতে থাকে।’
তিনি আরও জানান, ইঞ্জিনিয়ারের ডিজাইন অনুযায়ী মিস্ত্রিরা কাজ করছিলেন না। এ নিয়ে কয়েক দিন আগে রাজুর সঙ্গে রাজমিস্ত্রি জসিমসহ অন্যদের ঝামেলা হয়। এর জেরেই রাজমিস্ত্রিরা পরিকল্পিতভাবে তার ভাইকে হত্যা করেছেন।
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য রাজুর মরদেহ সোমবার সকালে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।
তিনি আরও জানান, পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ ঘটনায় রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।