বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সিজারের সময় ভুঁড়ি বের হওয়া নবজাতকের মৃত্যু

  • নিউজবাংলা ডেস্ক   
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২১ ১৬:০০

পরিবারের দাবি, অস্ত্রোপচারের ভুলে শিশুটির ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, জন্মগত ত্রুটি থাকায় এমনিতেই ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। চিকিৎসকের কোনো অবহেলা ছিল না।

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার ইউনাইটেড মেডিক্যাল সেন্টারে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে প্রসবের সময় ভুঁড়ি বের হয়ে যাওয়া এক নবজাতকের মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার রাতে একটি ক্লিনিকে নবজাতকটির মৃত্যু হয়।

পরিবারের দাবি, অস্ত্রোপচারের ভুলে শিশুটির ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, জন্মগত ত্রুটি থাকায় এমনিতেই ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। চিকিৎসকের কোনো অবহেলা ছিল না।

আলমডাঙ্গার বাদেমাজু গ্রামের সাগর আলীর স্ত্রী রুমা খাতুন প্রসব বেদনা নিয়ে শুক্রবার ইউনাইটেড মেডিক্যালে ভর্তি হন।

সিজার করার সময় নবজাতকের পেট কেটে গিয়ে ভুঁড়ি বের হয়ে যায়। ওই অবস্থায় শিশুটিকে না দেখিয়ে গোপন কক্ষে তিন ঘণ্টা রেখে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

সাগর আলী জানান, শুক্রবার রাতে শিশুটিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেয় ওই ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। বাঁচানো সম্ভব হবে না বলে জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা শিশুটিকে ফেরত দেন। তারপর তাকে বাসায় নেয়া হয়।

শনিবার বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে শিশুটিকে কুষ্টিয়া সনো সেন্টারে নেয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক রাতে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নবজাতকের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে নেয়া হয়েছে। রুমা খাতুন এখনও ইউনাইটেড মেডিক্যাল সেন্টারে চিকিৎসাধীন।

সাগরের ফুফাতো ভাই উজ্জ্বল হোসেন বলেন, ইউনাইটেড মেডিক্যাল সেন্টারের মালিক নাজমুল হক নিজেই অপারেশন করেছিলেন। তবে শর্ত অনুযায়ী, একজন বিশেষজ্ঞ সার্জনকে দিয়ে সিজার করানোর কথা ছিল। তারা এটা করলে মর্মান্তিক এই ঘটনা ঘটত না।

এ বিষয়ে ইউনাইটেড ক্লিনিকের মালিক নাজমুল হক বলেন, ‘প্রসূতির অপারেশন করেছেন ডা. বিপাশা। জন্মের সময় ত্রুটির কারণে শিশুর নাড়ি-ভুঁড়ি বের হয়ে আসে। এটা ডাক্তারের ত্রুটি নয়। এখানে কারও কিছু করার ছিল না।’

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর নিউজবাংলাকে জানান, এ ঘটনায় মারা যাওয়া শিশুর বাবা সাগর আলী মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন মারুফ হাসান বলেন, ‘আমি ঘটনাটি শুনেছি। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হবে। কমিটির প্রতিবেদন পেলে ওই ক্লিনিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

ইউনাইটেড মেডিক্যাল সেন্টারের বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক ভুল চিকিৎসার অভিযোগ আছে। কয়েকবার ক্লিনিকটি বন্ধের নির্দেশও দেয় কর্তৃপক্ষ। তারপরও ক্লিনিকটি চালিয়ে আসছে কর্তৃপক্ষ।

সবশেষ ২০২০ সালের ৭ মার্চ এক প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় মেডিক্যাল সেন্টারটির সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।

কেবিন অপরিষ্কার ও রোগীদের পচা খাবার দেয়ায় ২০১৮ সালে মেডিক্যাল সেন্টারটিকে জরিমানাও করেছিল ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এ বিভাগের আরো খবর