বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এমসি কলেজে ধর্ষণ: আরও সময় চান আসামিরা

  •    
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২১ ১৪:৫৯

কৌঁসুলি রাশিদা সাইদা খানম জানান, ‘মামলার আসামী পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এক সপ্তাহের সময় দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে তারা অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করবে। তাদের নারাজি না থাকলে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচারকাজ শুরু হবে।’

অভিযোগপত্র পর্যালোচনার জন্য আদালতের কাছে সময় চেয়েছেন সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে এক নারীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ মামলার আট আসামি।

রোববার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠনের তারিখ ছিল। এ দিন আসামিদের পক্ষে আদালতের কাছে সময় চাওয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগপত্র নিয়ে আপত্তি থাকলে তা জানাতে এক সপ্তাহের সময় দেন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহিতুল হক।

১০ জানুয়ারি অভিযোগ গঠনের শুনানির পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন আদালত। এ সময়ের মধ্যে অভিযোগপত্র নিয়ে আসামিদের কোনো আপত্তি থাকলে জানাতে হবে।

একই দিন আদালতে জামিন প্রার্থনা করেন মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনি। আদালত তার আবেদন নাকচ করে দেন।

আদালতের কৌঁসুলি রাশিদা সাইদা খানম জানান, মামলার আসামী পক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত এক সপ্তাহের সময় দিয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে তারা অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করবে। তাদের নারাজি না থাকলে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচারকাজ শুরু হবে।

আজ নির্ধারিত তারিখে এই মামলার অভিযোগপত্রভূক্ত ৮ আসামিকেই আদালতে হাজির করা হয়েছিল বলে জানান সাইদা খানম।

৩ ডিসেম্বর ছাত্রলীগের আট নেতাকর্মীকে অভিযুক্ত করে মামলার অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা শাহপরান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইন্দ্রনীল ভট্টাচার্য।

অভিযোগপত্রে সাইফুর রহমান, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, তারেকুল ইসলাম তারেক, অর্জুন লস্কর, আইনুদ্দিন ওরফে আইনুল ও মিসবাউল ইসলাম রাজন মিয়াকে সরাসরি ধর্ষণে সম্পৃক্ত এবং রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুমকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এই আটজনই বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।

২৫ সেপ্টেম্বর রাতে সিলেটের বালুচর এলাকার এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন এক গৃহবধূ। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে বন্ধ থাকা ছাত্রাবাসে স্বামীকে বেঁধে রেখে তাকে ধর্ষণ করা হয়।

ওই রাতেই ওই নারীর স্বামী ছয় জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা কয়েক জনকে আসামি করে নগরীর শাহপরান থানায় মামলা করেন।

ঘটনার পর পালিয়ে গেলেও তিন দিনের মধ্যে সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে এজাহারভুক্ত আসামি সাইফুর রহমান, তারেকুল ইসলাম তারেক, মাহবুবুর রহমান রনি, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাসুম এবং সন্দেহভাজন আসামি মিসবাউর রহমান রাজন ও আইনুদ্দিনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেপ্তারের পর সবাইকে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে পায় পুলিশ। রিমান্ড শেষে সবাই আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। কোনো পদে না থাকলেও গ্রেপ্তার হওয়া সবাই ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে স্থানীয় ও কলেজ সূত্রে জানা যায়।

ওই ঘটনার পর দেশজুড়ে ধর্ষণবিরোধী তীব্র আন্দোলন শুরু হয়। ধর্ষণের ঘটনায় মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে আইনও সংস্কার করে সরকার।

এ বিভাগের আরো খবর