চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের সেপটিক ট্যাংকে ফেলে এক শিশুকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
রোববার সকালে জেলার মসজিদপাড়া গোরস্থানের পাশে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান খান।
তিনি জানান, শনিবার রাতে শিশুটির মরদেহ উদ্ধারের পরপরই ওই কিশোরকে পৌরসভার আরামবাগ এলাকা থেকে আটক করা হয়। হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তাকে আটক করা হয়েছে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে কিশোরটি জানায়, সে রোহানকে নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে ভিক্ষা করতে যায়। একপর্যায়ে শিশুটি কান্নাকাটি করায় তাকে হাসপাতালের ঢাকনা খোলা সেপটিক ট্যাংকে ফেলে দেয় ওই কিশোর।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার দিকে রোহানকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার মসজিদপাড়ায় তার বাড়ির সামনের রাস্তা থেকে তুলে নেয় ওই কিশোর। এর কিছুক্ষণের মধ্যে সে সদর হাসপাতাল চত্বরে চলে যায় ভিক্ষা করতে।
হাসপাতালের সিটিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, কিশোরটি বেলা ১১টা ৮ মিনিটে হাসপাতালের ফটক দিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ওসি আরও জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে রোহানের বাবা সুজন আলীকে ফোন করে রোহানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান তার মা ইরা বেগম। এরপর তারা নিজেরা খোঁজাখুঁজি করেন। না পেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে সদর থানায় বিষয়টি জানান তারা।
এর পরই পুলিশ শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে। শহরের বিভিন্ন জায়গার সিসিটিভি ফুটেজ দেখার এক পর্যায়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজে শিশুটিকে এক কিশোরের কোলে দেখা যায়। ওই সূত্র ধরেই হাসপাতাল এলাকায় খোঁজ করে সেপটিক ট্যাংকের ভেতর শিশুটির মরদেহ পাওয়া যায়।
রোববার চাঁপাইনবাবগঞ্জের মসজিদপাড়া গোরস্থানের শিশু রোহানকে দাফন করা হয়।