দুইশ বছরের বেশি সময় ধরে শেরপুর পৌরসভার নবীনগরের রোয়াবিলে হচ্ছে ঐতিহ্যবাহী পৌষ মেলা। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
ঘোড়দৌড়, সাইকেল রেস, গাঙ্গি বা কুস্তি খেলা ও নারীদের মিউজিক্যাল চেয়ারসহ নানা রকম গ্রামীণ খেলা ও প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে জমে উঠেছে রোয়াবিলে এ বারের পৌষ মেলা।
শেরপুর শহরের প্রবেশ মুখেই অবস্থিত রোয়াবিল। পৌর এলাকার নবীনগর মহল্লায় এ বিলের অবস্থান। বিলটি ঐতিহ্যবাহী হয়ে ওঠেছে কারণ এখানে প্রতি বছরই পৌষ মাসের শেষ দিনে অনুষ্ঠিত হয় মেলা।
এবার বোরো ধান রোপণের মৌসুম এসে পড়ায় পৌষের মাঝামাঝি সময় ১ জানুয়ারি মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মুড়ি-মুড়কি, মোওয়া, নিমকি, গজা, কলাই, বাদাম কটকটি, তিলের খাজা এবং প্লাস্টিক ও মাটির তৈরি শিশুদের বিভিন্ন খেলনা, নারীদের বিভিন্ন প্রসাধনীসহ গৃহস্থালির বিভিন্ন পণ্যের পসরা বসে এ মেলায়। করোনা মহামারির সময়েও শেরপুর টাউনসহ এর আশেপাশের এলাকা থেকে বিপুল সংখ্যক নারী-পুরুষ, তরুণ-তরুণী, শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষের ঢল নামে।
দুই শতক ধরে চলে আসা মেলা ধরে রাখার জন্য প্রতি বছরই আয়োজন করা হয়ে থাকে। আগামীতেও এ আয়োজন ধরে রাখার কথা জানায় মেলা উদযাপন কমিটি।
শেরপুরে ঐতিহ্যবাহী মেলায় নানা পণ্যের পসরাশেরপুর পৌরসভার ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মেলা উদযাপন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম জানান, ঐতিহ্যবাহী এ মেলা প্রতি বছরই আয়োজন করার চেষ্টা থাকে। একে ঘিরে এলাকার মানুষের বড় ধরনের একটি উৎসব করে।
শেরপুর পৌরসভার পৃষ্ঠপোষকতায় মেলাটি হয়ে আসছে বলে জানান, পৌর মেয়র গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন।
মেলায় ঘুরতে আসা সাত বছর বয়সী সাদিয়া জানায়, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বেড়াতে এসে খুবই আনন্দিত সে।
মেলায় আসা আরেক দর্শনার্থী সাহনাজ পারভীন জানান, তিনি আত্মীয় স্বজনদের নিয়ে এ মেলা উপভোগ করেন। প্রতি বছর মেলার আয়োজন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ দেন তিনি।
জাতীয় সংসদের হুইপ বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিকের কন্যা শারমিন রহমান অমি বলেন, ‘আমাদের গ্রাম বাংলার খেলাগুলো আমরা এ মেলায় দেখতে পাই। এ ছাড়া নানা ধরনের পিঠাও খেতে পারি।’