বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এলাকাবাসী ‍উদ্ধার করল স্কুলের জমি

  •    
  • ৩ জানুয়ারি, ২০২১ ০০:০০

১৯২৮ সালে স্থানীয় কয়েকজনের দান করা ৫৮ শতাংশ জমিতে বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ গড়ে ওঠে অভয়নগরে ঘোপেরঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সম্প্রতি একজন পাঁচ শতাংশ জমি নিজের দাবি করে সেখানে বেষ্টনী তৈরি করেন। সেটি ভেঙে দিয়েছে বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী।

যশোরের অভয়নগরে ঘোপেরঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ দখলমুক্ত করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

শনিবার দুপুরে এলাকাবাসীকে নিয়ে তারা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয় অবৈধ স্থাপনা।

বেলা ১১টার দিকেই মাঠ দখলমুক্ত করার দাবিতে সাবেক শিক্ষার্থী, নতুন পাঠ্যবই নিতে আসা শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করে। পরে মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।

সেখানে বক্তব্য রাখেন স্কুলটির ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোকছেদুর রহমান, প্রধান শিক্ষিকা রিতা পোদ্দার, চেঙ্গুটিয়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক জামির মোল্লা, প্রাক্তন ছাত্র শফি কামাল, অভিভাবক ফাতেমা বেগম।

বেলা আনুমানিক ১২ টার দিকে যশোর-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য রণজিত কুমার রায়ের ছেলে বাঘারপাড়া উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রাজিব রায়ও সেখানে যান।

এরই কিছুক্ষণ পর শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী স্কুল মাঠে টিনের প্রাচীর ভেঙে ফেলে। দখলমুক্ত মাঠে খেলাধুলা শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রিতা পোদ্দার জানান, ১৯২৮ সালে স্থানীয় কয়েকজনের দান করা ৫৮ শতাংশ জমিতে বিদ্যালয় ও খেলার মাঠ গড়ে ওঠে। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকার সুযোগে সপ্তাহ তিনেক আগে স্থানীয় একজন মাঠের মাঝখানে প্রায় পাঁচ শতাংশ জমি দখল করে নেয়। তারা সেখানে টিনের প্রাচীর নির্মাণ করে।

গত ১ জানুয়ারি বিষয়টি নিয়ে যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খানের কাছে লিখিত অভিযোগও দেয়া হয়।

বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মোকছেদুর রহমান জানান, চেঙ্গুটিয়া বাজারের আনন্দ চন্দ্র সাহার ছেলে শশীভূষণ সাহা স্কুল নির্মাণের জন্য ৫৮ শতাংশ জমি দান করেছিলেন। সেই জমির পাঁচ শতাংশ জাল দলিল করে দখল করে নেন চেঙ্গুটিয়া গ্রামের বাহিরঘাট এলাকার ইকরামুল কবীর। দখলের পর স্কুলের দুটি মেহগনী গাছ কেটে নিয়ে যান তিনি যে দুটির দাম প্রায় দেড় লাখ টাকা।

ইকরামুল কবীরের দাবি, জাহান আলী বিশ্বাস, আব্দুল মতিন বিশ্বাস, শাহীদুজ্জামান শাহিন, শাসছুন্নাহার, মনোয়ারা ও আনোয়ারা খাতুনের কাছ থেকে ১৫ লাখ টাকায় তিনি এই জমি কিনেছেন। এর সব কাগজপত্র আছে। স্কুলের খেলার মাঠ দখলের বিষয়টি সত্য নয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাজমুল হুসেইন খাঁন বলেন, ‘উভয়পক্ষকে কাগজপত্র সহকারে তলব করা হবে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর