ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ভাঙচুরের ঘটনায় আটক নুর আলমের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা হয়েছে।
পীরগঞ্জ থানার ওসি প্রদীপ কুমার রায় এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নুর আলমকে শনিবার ঠাকুরগাঁও বিচারিক হাকিম রমেশ কুমার ধাগার আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।
বিচারক জানান, শুনানি হবে রোববার। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত শুক্রবার বিকালে পীরগঞ্জ পৌর শহরের পূর্ব চৌরাস্তার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরালে ইট দিয়ে আঘাত করতে দেখা যায় নুর আলমকে। এতে ম্যুরালের একটি অংশ ভেঙে যায়। সেখান থেকে হাতেনাতে তাকে আটক করে পুলিশ।
নুরের বাড়ি শহরের রঘুনাথপুর গ্রামে। তার বাবা ওহিদুল হকের দাবি, প্রায় পাঁচ বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন নুর। প্রায়ই বাড়ি থেকে লাপাত্তা হন তিনি। আগে কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে জাতির পিতার ম্যুরালটি ভাঙচুরের সময় হাতেনাতে আটক করা হয় নুরুকে। রাতেই স্থাপনাটি মেরামত করা হয়েছে
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেজাউল করিম জানান, রাতেই ম্যুরালটির ভাঙা অংশ মেরামত করা হয়েছে।
রাজধানীর ধোলাইপাড়ে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নির্মাণের বিরোধিতা করে ধর্মভিত্তিক কয়েকটি দলের মাঠে নামার পর ডিসেম্বরের শুরুতে কুষ্টিয়ার পাঁচ রাস্তা মোড়ে জাতির পিতার নির্মাণাধীন একটি ভাস্কর্য ভাঙচুর করা হয়। এর পরপরই দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সব ভাস্কর্য ও ম্যুরালের নিরাপত্তায় দ্রুত ব্যবস্থা নিতে গত ৭ ডিসেম্বর সরকারকে নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ।
এর পরও কেন ঠাকুরগাঁওয়ের ম্যুরালটি অরক্ষিত ছিল, সে প্রশ্নের জবাবে ইউএনও জানান, ওই ম্যুরালটি বাজারের জনবহুল এলাকার মাঝখানে অবস্থিত। বাজারের মধ্যেই সিসি ক্যামেরা আছে।
ম্যুরালটি আলোকিত করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান ইউএনও রেজাউল।