বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

লন্ডন ফেরতদের কোয়ারেন্টিনে সিলেটে প্রস্তুত দুটি হোটেল

  •    
  • ২ জানুয়ারি, ২০২১ ১৯:২৯

সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন বিআরডিটিআই ক্যাম্প এবং যাত্রীদের আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী বিভিন্ন হোটেলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যারা কোয়ারেন্টিনের খরচ দিতে পারবেন না তারা থাকবেন সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে থাকা সিলেটের শাহপরাণ এলাকার বিআরডিটিআই ক্যাম্পে।

যুক্তরাজ্য থেকে আসা বিমান যাত্রীদের নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য সিলেটে দুটি হোটেল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে প্রতি সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট সিলেট আসে। প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবার এ সব ফ্লাইটের বিমান ওসমানী বিমানবন্দরে নামে।

যুক্তরাজ্যে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ তাদের সঙ্গে বিমান যোগাযোগ বন্ধ রেখেছে। তবে বাংলাদেশের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। এ কারণে বিশেষ করে সিলেটে নতুন ধরনের করোনাভাইরাস (স্ট্রেইন) ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই অবস্থায় যুক্তরাজ্য থেকে আসা যাত্রীদের নিজ খরচে বাধ্যতামূলকভাবে কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। ২৮ ডিসেম্বর মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এই নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যা ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হয়। তবে এই নির্দেশনা কার্যকরের পর আগামী সোমবার যুক্তরাজ্য থেকে প্রথম ফ্লাইট সিলেট আসবে।জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘যুক্তরাজ্য থেকে সিলেটে আসা যাত্রীদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য আমরা হোটেল স্টার স্পেসিফিক ও হোটেল হলি গেইট চূড়ান্ত করেছি। এই দুটি হোটেলকে প্রস্তুত করা হয়েছে। আরও চার/পাঁচটি হোটেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ হয়েছে। প্রয়োজনে সেগুলোতেও কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা হবে।’যুক্তরাজ্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে বেশির ভাগই সিলেটের বাসিন্দা। গত এক মাসে যুক্তরাজ্য থেকে প্রায় ১ হাজার ৪০০ বাংলাদেশি সিলেটে এসেছেন।জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার (কোভিড-১৯ ও মিডিয়া সেল) শাম্‌মা লাবিবা অর্ণব জানিয়েছেন, নিজ খরচে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনার পর যুক্তরাজ্য প্রবাসীদের অনেকেই দেশে আসার আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছেন।তিনি বলেন, ‘আমরা ধারণা করেছিলাম, আগামী সোমবারের ফ্লাইটে ১৫০ থেকে ২০০ জন আসবেন। কিন্তু ওই দিনের ফ্লাইটে সিলেটের ৬৯ জন যাত্রী রয়েছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি। পরবর্তী ফ্লাইটগুলোতে যাত্রী আরও কমতে পারে। তবে যাত্রী সংখ্যা বাড়লে হোটেলের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।’বিমানবন্দর থেকে বিটিআরসির বাসে করে যাত্রীদের হোটেল নিয়ে আসা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, যাত্রীরা যাতে হোটেলের বাইরে না আসেন এবং হোটেলে যাতে তাদের স্বজনরা প্রবেশ না করেন, তা তদারকি করতে হোটেলগুলোর সামনে সার্বক্ষণিক পুলিশ থাকবে।জানা গেছে, যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনে রাখার বিষয়ে ২৯ ডিসেম্বর সিলেটের বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে একটি সভা হয়। এতে সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণাধীন বিআরডিটিআই ক্যাম্প এবং যাত্রীদের আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী বিভিন্ন হোটেলে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখার সিদ্ধান্ত হয়। যারা কোয়ারেন্টিনের খরচ দিতে পারবেন না তারা থাকবেন সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে থাকা সিলেটের শাহপরাণ এলাকার বিআরডিটিআই ক্যাম্পে।সিলেট হোটেল অ্যান্ড গেস্ট হাউজ ওনার্স গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক নওশাদ আল মুক্তাদির বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য হোটেলের তালিকা পাঠাতে বলেন। শুক্রবার আমরা মহানগরে অবস্থিত ১০টি হোটেলের নাম পাঠিয়েছি। এ থেকে দুটি হোটলকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করেছেন তারা।’সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্ল্যাহ তাহের বলেন, হোটেল স্টার প্যাসিফিক ও হোটেল হলি গেটের সঙ্গে পুলিশের যোগাযোগ হয়েছে। আগামী সোমবার হোটেল দুটিতে নিরাপত্তা ও নজরদারির ব্যবস্থা করবে পুলিশ।

এ বিভাগের আরো খবর