নেত্রকোণায় গত বছরে ৪৪১টি মাদকবিরোধী অভিযান চালিয়েছে জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।
শনিবার মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ৩১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় জেলা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আলি হায়দার রাসেল এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, নেত্রকোণায় গত বছর ৪৪১টি অভিযানে ৮৮ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয় ৭৯টি। এসব মামলার ৫০ আসামি পলাতক। ভ্রাম্যমাণ আদালতের ৫০টি অভিযানে চোলাইমদ, ওয়াশ, গাঁজা, ইয়াবা, হেরোইন, ডায়জিপাম, বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।
সহকারী পরিচালক আলি হায়দার বলেন, ‘করোনা পরিস্থিতির কারণে বছরের বেশিরভাগ সময় অভিযান কিছুটা কম হয়েছে; এখন বাড়ানো হবে।’
জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন নেত্রকোণা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সুহেল মাহমুদ।
জেলা প্রশাসক কাজি মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘নেত্রকোণার সীমান্ত এলাকায় মাদক পাচাররোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সবাইকে অভিযানের সঙ্গে সম্পৃক্ত করা হবে। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরে জনবল বাড়ানো হবে। মাদকের তথ্য, ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বিচার এবং নিরাময় কেন্দ্র মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নেত্রকোণা শহরের দত্ত স্কুল মাঠ, বিএডিসি ফার্ম, শ্মশান ঘাট, কেডিসি ভবন চত্ত্বর, বড় স্টেশনসহ বেশ কয়েকটি মাদকসেবন স্পটে পুলিশি তৎপরতা ও মনিটরিং জোরদার করা হবে।’
পরিবার থেকে শুরু করে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার ওপর গুরুত্ব দিয়ে পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী বলেন, ‘শুধু আমদানি, কারবারি ঠেকিয়ে মাদক নির্মূল হবে না। এ বিষয়ে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।’