সুনামগঞ্জ সদর পৌরসভার ছোট্ট একটি এলাকা ৫ নম্বর ওয়ার্ড। পৌরসভা নির্বাচনে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে লড়ছেন নয় জন প্রার্থী।
ভোটারদের দলে টানতে অন্যান্য ওয়ার্ডের মতো প্রচারে ব্যস্ত এই ওয়ার্ডের প্রার্থীরাও। তবে শব্দদূষণ এড়াতে এবার ভোটের প্রচার চালাতে মাইকের ব্যবহার করছেন না তারা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চাইছেন, আর বিলি করছেন প্রচারপত্র।
৫ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর গোলাম সাবেরীন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ছোট্ট একটি এলাকায় এত প্রার্থী; তাদের পাশাপাশি মেয়র ও সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা যদি মাইকিং করে, তাহলে ভয়াবহ শব্দ দূষণ হবে। ভোটারদের কান ঝালাপালা হয়ে যাবে। তাই আমরা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরা মিলে মাইকিং না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
ওই ওয়ার্ডের আরেক কাউন্সিলর প্রার্থী বিমান কান্তি রায় বলেন, ‘আমরা ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার চালাব। এ জন্য মাইকিং করাই লাগবে, এমন তো কোথাও নেই। ভোটারদের কোনো রকমের অসুবিধা হোক আমরা চাইব না।’
শুধু ৫ নম্বর ওয়ার্ড নয়, শব্দ দূষণ এড়াতে পৌরসভার সব প্রার্থীকেই মাইকিং পরিহার করা উচিত বলে মনে করেন সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান তারেক।
তিনি বলেন, সুনামগঞ্জ শহর অপেক্ষাকৃত ছোট শহর। কিন্তু প্রার্থীর সংখ্যা অনেক। তাই শব্দ দূষণ রোধে মাইকিং ছাড়া প্রচার চালানো প্রয়োজন। এতে প্রচারকাজের ব্যয়ও কমবে এবং বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রতিশ্রুতি জানালে ভোটাররাও সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুরাদ উদ্দিন হাওলাদার জানান, সদর পৌরসভার মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন জন। আর সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৯ জন এবং সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থী লড়ছেন।
এর মধ্যে পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে নয় জন প্রার্থী হলেন, বর্তমান কাউন্সিলর গোলাম সাবেরীন, বিমান কান্তি রায়, আবু বক্কর সিদ্দিক, আলী আছহাব আহমদ, এমদাদুল হক, গণেশ রায়, নিহার রঞ্জন দাস, সামছুল ইসলাম পারভেজ ও সাহিন মিয়া।
দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১৬ জানুয়ারি।