শীতের নরম রোদে বাড়ির উঠোনে বা ছাদে বসে কুমড়োর বড়ি দিচ্ছেন গ্রামের নারীরা। কেউ কেউ আবার রোদে শুকানো বড়ি যত্ন করে তুলে রাখছেন সারা বছর খাওয়ার জন্য।
শীতকালে চুয়াডাঙ্গার প্রায় প্রতিটি বাড়ির এ এক পরিচিত দৃশ্য।
আগের রাতে ভিজিয়ে রাখা হয় মাষকলাই ডাল। সকালে ডাল বেটে তার সঙ্গে মেশানো হয় খোসা ও বীজ ছাড়িয়ে বেটে নেয়া পাকা চালকুমড়ো। বেশ সময় ধরে ভালো করে মিশিয়ে নেট অথবা কাপড়ের উপর লাইন করে বড়ি বসানো হয়। এরপর টানা কয়েকদিনের রোদে শুকিয়ে নিলেই খাওয়ার জন্য তৈরি কুমড়োর বড়ি।
বড়ি তৈরির পদ্ধতি নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন চুয়াডাঙ্গা সদরের বড় বাজার পাড়ার মরিয়ম বিবি।
শহরতলীর দৌলতদিয়ারের কুলসুম বেগম নিউজবাংলাকে জানান, ভালো বড়ির জন্য চাই ভালো রোদ। রোদ ভালো না হলে বড়িতে ছাতা পড়ে যায় ও গন্ধ হয়। এজন্য বড়ি তৈরির জন্য আবহাওয়ার দিকে খেয়াল রাখা খুব জরুরি।
বর্তমানে বড় একটি পাকা চালকুমড়োর দাম ২০০ টাকা আর প্রতি কেজি মাষকলাই ডাল পাওয়া যায় ১০০ টাকায়। সেখান থেকে বড়ি তৈরি হয় দেড় থেকে দুই কেজি।
বাজারেও রয়েছে বড়ির বেশ চাহিদা। প্রতি কেজি কুমড়োর বড়ি ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হয়।
অনেকেই বাড়তি আয়ের উৎস হিসেবে বেছে নেন কুমড়োর বড়ি বিক্রিকে।
ডিঙ্গেদহ বাজারের সেলিম জানান, শীত মৌসুমে তিনি গ্রামের গৃহবধুদের কাছ থেকে কুমড়োবড়ি কিনে সাইকেলে করে শহরের বাড়ি বাড়ি বিক্রি করেন। মৌসুমী এই ব্যবসায় তার ভালো লাভ হয়।