কক্সবাজারের টেকনাফে দুর্বৃত্তদের গুলিতে এক ছাত্রলীগ নেতা খুন হয়েছেন। শুক্রবার ভোরে সাবরাং ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত উসমান সিকদার টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিলেন। তিনি সাবরাং এলাকারই বাসিন্দা ছিলেন।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ভোরে বাড়ির পাশের মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করতে যাচ্ছিলেন উসমান। এ সময় বাড়ির সামনেই তাকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তার গায়ে একাধিক গুলি লেগেছে।
উসমানের ছোট ভাই আব্দুল আমিনের অভিযোগ এই হত্যায় স্থানীয় এক ইয়াবা কারবারি জড়িত।
আমিন বলেন, ‘পাঁচ দিন আগে এলাকা থেকে একটি ইজিবাইক (টমটম) চুরি হয়। পাশের এলাকার আব্দুল্লাহ মেম্বারের ছেলে শাকের উল্লাহ ও তার সহযোগী কেফায়েত উল্লাহ এটি চুরি করে। এই ঘটনায় উসমানের কাছে বিচার নিয়ে যান ইজিবাইকের মালিক। সেদিনও তাকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। এই ঘটনায় উসমান থানায় অভিযোগ দিয়েছিলেন।
‘আজ সকালে নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে তাকে (উসমান) গুলি করা হয়। সেখান থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে’-বলেন উসমানের ভাই।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নুর হোসেন বলেন, ‘গুলির শব্দ শুনে আশপাশের লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা উসমানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চিকিৎসক আয়ুব হোসেন জানান, উসমানের মৃত্যু হাসপাতালে আসার আগেই হয়েছে। তার শরীরে তিনটি গুলির চিহ্ন রয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুর রহমান জানান, যাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তারা ইয়াবা ও মানব পাচারকারী হিসেবে তালিকাভুক্ত। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
শাকেরের বিরুদ্ধে চুরি, ডাকাতি, মানব পাচার, ইয়াবাসহ নানা বিষয়ে অন্তত ১৮ থেকে ২০টি মামলার তথ্য মিলেছে।