বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে বৃহস্পতিবার বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারে জড়ো হন লাখো পর্যটক। সূর্যাস্তের মধ্য দিয়ে বছরকে বিদায় জানাতে সমবেত হন স্থানীয় বাসিন্দারাও।
কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম শিকদার নিউজবাংলাকে জানান, থার্টি ফার্স্ট নাইট উদ্যাপনকে ঘিরে শহরের সাড়ে চার শর বেশি হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট ও কটেজের ৮০ ভাগের বেশি বুক হয়েছে।
সৈকতে পর্যটকদের ঢল। ছবি: নিউজবাংলা
তবে অন্যান্য বছরের মতো এ বছর কক্সবাজারে থার্টি ফার্স্ট নাইটের কোনো আয়োজন নেই বলে জানান তিনি। প্রতি বছরের মতো সাজানো হয়নি কোনো হোটেল ও মোটেল। নেই ইনডোর কোনো আয়োজনও।
তারপরও করোনায় বন্দি জীবন থেকে বের হয়ে প্রিয়জনের সঙ্গে সমুদ্র দর্শনের আনন্দটাই যেন মুখ্য পর্যটকদের কাছে।
সিলেট থেকে আসা মো. ইমন বলেন, ‘করোনার কারণে দীর্ঘ সময় বাসার বাইরে যাওয়ার সুযোগ হয়নি। তাই থার্টি ফার্স্ট নাইটের বাড়তি কোনো আয়োজন না থাকলেও প্রকৃতির সঙ্গে বেশ ভালো সময় কাটাচ্ছি।’
বছরের শেষ সূর্যাস্তকে ক্যামেরাবন্দি করছেন এক পর্যটক। ছবি: নিউজবাংলা
তবে উদ্যাপন করতে গিয়ে কেউ যেন করোনায় আক্রান্ত না হন, সে জন্য মাইকিং করে সবাইকে সচেতন করছে জেলা প্রশাসন। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আল আমিন পারভেজ বলেন, পর্যটকদের সৈকতে নামার সময় মাস্ক ব্যবহার ও স্বাস্থ্যবিধি মানার ব্যাপারে কঠোরভাবে সচেতন করা হচ্ছে।
পর্যটকদের সুরক্ষায় ব্যাপক প্রস্তুতির কথা জানিয়ে জেলা টুরিস্ট পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার চৌধুরী মিজানুজ্জামান বলেন, কলাতলী থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস পয়েন্ট পর্যন্ত পর্যটক সমাগম বেশি। ওই এলাকায় টুরিস্ট পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী আছে। পাশাপাশি মোবাইল টিম ও রেসকিউ টিমও তৎপর আছে।