গ্রাহকের ১২ কোটির বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় গ্রেপ্তার বগুড়ার যমুনা ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক সওগত আরমানের বিরুদ্ধে এবার প্রায় ১৬ কোটি টাকার নথি জালিয়াতির অভিযোগে মামলা হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) বগুড়া শাখায় বৃহস্পতিবার করা এই মামলায় আসামি করা হয়েছে শাখাটির আরও তিন কর্মকর্তা রেজানুল হক, রবিউল ইসলাম ও আব্দুর রউফকে। তাদের বৃহস্পতিবার দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দুদক বগুড়া কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক (এডি) আমিনুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৮ সালের ৮ মে থেকে গত ২৩ জুলাই পর্যন্ত বিভিন্ন সময় কয়েকজন কর্মকর্তার সহযোগিতায় ১৫ কোটি ৮৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা মূল্যের টেন্ডার নথি ও পে-অর্ডার জাল করেন সওগত আরমান।
প্রাথমিক অনুসন্ধানে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত হয়েছে, মেসার্স আমেনা বেগম, টুম্পা এন্টারপ্রাইজ ও শিমু কনস্ট্রাকশনসহ বগুড়া ও সিরাজগঞ্জের অন্তত ১০০ প্রতিষ্ঠানে পাঠানো হয়েছে এসব জাল নথিপত্র।
শাখার ২২ জন গ্রাহকের ১২ কোটি ১৬ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগের মামলায় গত ২৮ জুলাই সওগত আরমানকে গ্রেপ্তার করে দুদক। মামলার পর তার দুই স্ত্রী ও বান্ধবীর ব্যাংক অ্যাকাউন্টও জব্দ করা হয়।
অর্থ আত্মসাৎ ও নথি জালিয়াতির ঘটনা তদন্তে নেমে দুই মামলায় ব্যাংকের কর্মকর্তা রেজানুল হক, রবিউল ইসলাম ও আব্দুর রউফের সংশ্লিষ্টতা পায় দুদক।