নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে চুরি হওয়া শিশু তাইবাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুই মাসের ওই শিশু চুরির ঘটনায় এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
চুরি হওয়ার আট দিন পর বুধবার নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার তিরোইল গ্রামের একটি বাড়ী থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে গুরুদাসপুর থানায় সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা।
তিনি জানান, গ্রেপ্তার শাকিলা বড়াইগ্রাম উপজেলার তিরোইল গ্রামের বাসিন্দা।
২৩ ডিসেম্বর মায়ের কোল থেকে কৌশলে ওই শিশুকে চুরি করে নিয়ে যান এক নারী। ঘটনাটি সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়ে।
আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে শিশু চুরির ভিডিও
ভিডিওতে বোরকা পরা এক নারীকে শিশুটিকে নিয়ে সটকে পড়তে দেখা গেছে।
তাইবা উপজেলার মশিন্দা মাঝপাড়া গ্রামের তফিজ উদ্দিন ও সীমা খাতুন দম্পতির একমাত্র মেয়ে।
সীমা গত কয়েকদিন ধরে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। বাড়িতে কেউ না থাকায় মেয়েকে নিয়েই হাসপাতালে যান তিনি।
উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোজাহিদুল ইসলাম জানান, সকালে রোগীর ভিড় ছিল অনেক। বহির্বিভাগে লাইন দেখে বোরকা পরা এক নারী ‘আপা’ সম্বোধন করে বাচ্চাটিকে তার কোলে দিয়ে সীমাকে ডাক্তার দেখাতে বলেন।
সীমা তার কথায় ভরসা করে মেয়েকে অচেনা ওই নারীর কাছে দিয়ে ডাক্তার দেখাতে যান। ফিরে এসে দেখেন ওই নারী সেখানে নেই।
পরে হাসপাতাল তন্ন তন্ন করে খুঁজেও সন্তানকে না পেয়ে কান্নাকাটি শুরু করেন।
এরপর সীমা ছুটে যান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের কাছে। গুরুদাসপুর থানা থেকে একটি দল এসে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
উপজেলা কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোজাহিদুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘ঘটনার পরপরই পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। তাদেরকে হাসপাতালের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেয়া হয়েছে। শিশুটি উদ্ধারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবরকম সহায়তা দেয়া হচ্ছে। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যেই শিশু তাইবাকে বাবা-মার কোলে ফিরিয়ে দেয়া হবে।’
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক নিউজবাংলাকে বলেন, সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। দ্রুত শিশুটিকে উদ্ধার করা সম্ভব হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সিভিল সার্জন কাজী মিজানুর রহমান নিউজবাংলাকে বলেন, ‘গুরুদাসপুর হাসপাতালে শিশু চুরির ঘটনা এটিই প্রথম। বিষয়টিকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।’