তরুণীর গরিব মা-বাবা। গ্রামবাসীর কাছ থেকে সহায়তা নিয়ে সোমবার মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেন। কিন্তু খবর পেয়ে এনজিও কর্মীরা এসেব বিয়েবাড়িতে হাজির।
অভিযোগ রয়েছে, এনজিওর লোকজন ছেলেপক্ষকে বলেন, ‘এরা আমাদের লোনের টাকা পরিশোধ করতে পারে না, এদের সঙ্গে ছেলের বিয়ে দিয়েন না।’ এরপর ছেলেপক্ষ বিয়ের আসর থেকেই বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার ওই তরুণীর মা ফকিরহাট মডেল থানা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগে বলা হয়, ইয়াসমিন বেগম শারীরিক প্রতিবন্ধী। তার স্বামী সরোয়ার শেখ এক জন দিনমজুর। অর্থাভাবে তিনি নবোলক পরিষদ নামের স্থানীয় একটি এনজিও থেকে কিছু টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। যা তিনি নিয়মিত পরিশোধও করছিলেন। কিন্তু করোনার মধ্যে আয় কমে যাওয়ায় কয়েকটা কিস্তি তিনি দিতে পারেননি।
অভিযোগে আরও বলা হয়, গ্রামবাসীর কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা নিয়ে সোমবার মেয়ের বিয়ের আয়োজন করেন। খবর পেয়ে বিয়ের আসরে এনজিওর লোকজন গিয়ে ঋণের টাকার জন্য চাপ দেন ও গালিগালাজ করেন। মেয়ের বিয়ের পর ঋণের টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিলেও কাজ হয়নি।
এনজিওর লোকজন ছেলে পক্ষকে বলেন, ‘এরা লোনের টাকা পরিশোধ করতে পারে না, এদের সঙ্গে ছেলের বিয়ে দিয়েন না। ওই কথার পর ছেলেপক্ষ মেয়ের বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।’
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাইদ খায়রুল আনাম নিউজবাংলাকে বলেন, অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। তদন্ত করে ঘটনায় সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নবলোক পরিষদের ম্যানেজার ধীমান মহলদার বলেন, ‘বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ঘটেছে। আমাদের মাঠকর্মীরা ওই দিন ওই বাড়িতে গিয়েছিলেন। তবে গালাগাল বা কোনো ধরনের খারাপ ব্যবহার করেননি। বিষয়টি স্থানীয়ভাবে মীমাংসা করা হবে।’