ফরিদপুরের নগরকান্দায় স্থানীয়দের বিরুদ্ধে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও নার্সকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ সময় ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের আসবাবপত্রও ভাঙচুর করা হয়।
জেলা সিভিল সার্জন সিদ্দীকুর রহমান জানান, শিশু সন্তানকে হাম-রুবেলার টিকা দিতে বুধবার দুপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যান হাসিনা বেগম। সেখানে ভিড় থাকায় হাসিনা বেগমকে দায়িত্বরত নার্স রেখা খানম লাইনে দাঁড়াতে বলেন।
হাসিনা নগরকান্দা পৌরসভার সাবেক মেয়র প্রয়াত রায়হান উদ্দিন মিয়ার মেয়ে।
ওই ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে হাসিনার ভাই আলামিন মিয়া ও স্থানীয় ১০ থেকে ১২ জন যুবক নার্স রেখাকে লাঞ্ছিত করেন বলে অভিযোগ ওঠে। তাকে রক্ষা করতে গিয়ে মারধরের শিকার হন চিকিৎসা কর্মকর্তা জ্যোতির্ময় চৌধুরীও।
ঘটনার ভিডিওচিত্র মোবাইল ফোনে ধারণের চেষ্টা করলে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের অফিস সহকারী ইখলাছ হোসনকেও পিটিয়ে আহত করা হয়। এরপর বিক্ষুব্ধরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভেতরে ঢুকে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
এ ব্যাপারে কথা বলার চেষ্টা করেও হাসিনা বেগম বা তার স্বজনদের কাউকে পাওয়া যায়নি।
নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সোহেল রানা জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আলামিনসহ তিনজনকে আটক করে। অন্যরা পালিয়ে যায়। আলামিন মিয়া, আনোয়ার হোসেন ও রুবেল মিয়া নামের ওই তিন যুবক নিজেদের যুবলীগ ও ছাত্রলীগ কর্মী দাবি করেন।
ওসি সোহেল রানা বলেন, হামলার ঘটনায় চিকিৎসা কর্মকর্তা জ্যোতির্ময় মামলা করেছেন। এ মামলায় ওই তিন জনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
সিভিল সার্জন সিদ্দীকুর রহমান বলেন, ‘আমরা নিরাপদ কর্মস্থল চাই। নিরাপদ পরিবেশে চিকিৎসা সেবা দিতে সবার সহযোগিতা চাই।’
হামলার ঘটনায় আহত চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে বলেও জানান সিভিল সার্জন।