বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

রায়হান হত্যা: পুলিশের চেয়ে চৌকশ সাংবাদিক নোমান!

  •    
  • ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ২৩:১০

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আত্মীয় নোমানের সহায়তায় সিলেট থেকে পালান আকবর। বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্কও গায়েব করেন তিনি। তবে নানা চেষ্টায়ও তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে তিনি বেশ দক্ষ।

সিলেটের আলোচিত রায়হান আহমদ হত্যা মামলার প্রধান আসামি বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে পালাতে সাংবাদিক আব্দুল্লাহ আল নোমান সাহায্য করেন বলে বলছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।

তারা জানিয়েছেন, আত্মীয় নোমানের সহায়তায় সিলেট থেকে পালান আকবর। বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সিসিটিভির হার্ডডিস্কও গায়েব করেন তিনি। তবে নানা চেষ্টায়ও তাকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে তিনি বেশ দক্ষ। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

গত ১১ অক্টোবর সকালে মারা যান নগরীর আখালিয়ার বাসিন্দা রায়হান আহমদ (৩৪)। বন্দরবাজার ফাঁড়িতে ধরে এনে নির্যাতন চালিয়ে তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই রাতেই হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করেন রায়হানের স্ত্রী তামান্না আক্তার।মামলার পর মহানগর পুলিশের একটি অনুসন্ধান কমিটি তদন্ত করে নির্যাতনের সত্যতা পায়। ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আকবরসহ চার জনকে ১২ অক্টোবর বরখাস্ত ও তিন জনকে প্রত্যাহার করা হয়।

১৩ অক্টোবর পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে যান আকবর। ভারতে পালানোর সময় গত ৯ নভেম্বর সিলেটের কানাইঘাট সীমান্ত থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে দাবি পুলিশের।হত্যা মামলায় আকবরসহ চার পুলিশ সদস্য কারাগারে রয়েছেন। মামলা তদন্ত করছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

সিলেট মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. নিশরুল আরিফ বলেন, ‘নোমান তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে আমাদের চাইতেও চৌকশ। আধুনিক প্রযুক্তিতে সে খুব দক্ষ। তাই তার অবস্থান নির্ণয় করা যাচ্ছে না। তবে বিকল্প কৌশল অবলম্বন করে তাকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

নোমান গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষুব্ধ রায়হানের মা সালমা বেগম। তিনি বলেন, ‘যেদিন আমার ছেলেকে মারা হয়েছে ওইদিন অনেকবার নোমানের সঙ্গে আকবরের যোগাযোগ হয়েছে। নোমান সিসিটিভির ফুটেজ গায়েব করেছেন। তাকে ধরে ফুটেজ উদ্ধার করতে পারলেই বোঝা যেত আমার ছেলেকে কি পরিমাণ নির্যাতন করা হয়েছে।’

সিলেট পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মো. খালেদ-উজ-জামান বলেন, ‘আমাদের তদন্ত প্রায় শেষ। শিগগিরই মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর