বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে বোনকে হত্যা: পিবিআই

  •    
  • ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৮:১৭

এসপি শাখাওয়াত হোসেন জানান, প্রতিপক্ষের একজন নিহত হয়েছে এ খবর জানার পর মুছা মিয়া অপর পক্ষকে ঘায়েল করতে তার বোনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। হত্যার পর প্রতিপক্ষের ৫৭ জনের নামে মামলাও করেন তিনি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলায় দুই বছর আগের এক হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটিত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলেন পিবিআইর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনিটের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, ২০১৮ সালে উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের রামপুরের রফিজা খাতুনকে হত্যা করেন তার আপন ভাই মুছা মিয়া। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারীকে হত্যা করেন মুসা ও তার সহযোগীরা।

এসপি মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন জানান, পরে ২০১৯ সালে মুছা মিয়াই বাদি হয়ে তার প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় হত্যা মামলা করেন।

তিনি জানান, দুই বছর পর পিবিআইকে এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়। ইতোমধ্যে হত্যায় জড়িত তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে সংস্থাটি।

এরা হলেন সোহাগ মিয়া, মো. আক্কাছ মিয়া ও পরশ মিয়া।

এসপি শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘রামপুর গ্রামের মুছা মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের আবু কালামের বিরোধ চলছিল। ২০১৮ সালে একটি খাসজমির দখল নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে আবু কালামের একজন সমর্থক নিহত হন।’

তিনি বলেন, ‘প্রতিপক্ষের একজন নিহত হয়েছে এ খবর জানার পর মুছা মিয়া অপর পক্ষকে ঘায়েল করতে তার বোনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনায় আরও কয়েকজন অংশ নেন।’

এসপি জানান, ২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর রফিজাকে বাড়ির আঙিনায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পরিকল্পনাকারীরা। এরপর প্রতিপক্ষের ৫৭ জনের বিরুদ্ধে নাসিরনগর থানায় হত্যা মামলা করেন মুছা।

এসপি মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘পিবিআই হত্যাকাণ্ডে সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আক্কাছকে গ্রেফতার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে হত্যায় অংশ নেয়া সোহাগ ও পরশকে গ্রেপ্তার করা হয়।’

তিনি বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তাররা হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য তাদের আদালতে পাঠানো হবে। এছাড়া হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মুছা মিয়াসহ অন্য আসামীদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এ বিভাগের আরো খবর