ঢাকার সাভারে বেদে সম্প্রদায়ের এক হতদরিদ্র পরিবারে এক অস্বাভাবিক শিশুর জন্ম হয়েছে।
সোমবার বিকেলে সাভার কাঞ্চনপুর বেদে পল্লিতে ওই শিশুর জন্ম হয়।
শিশুটির বাবার নাম শুকুর আলী ও মায়ের নাম জয়দা বিবি। তারা সাপের খেলা দেখান। শুকুর আলী কাজের জন্য বর্তমানে রাজশাহী রয়েছেন। শিশুটির জন্মের পর তার মা পলাতক রয়েছেন।
প্রতিবেশীরা জানায়, এক বৃদ্ধা ধাত্রী বাড়িতেই শিশুটিকে স্বাভাবিকভাবে প্রসব করান। ওই ধাত্রীর কাছেই শিশুটি রয়েছে।
শিশুটিকে নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই বেদে পল্লিতে। প্রতিনিয়ত শিশুটিকে দেখতে ভিড় জমাচ্ছে মানুষ।
শুকুর আলীর প্রতিবেশী সানিউল সানি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বাচ্চাটা এখনো জীবিত আছে। একেবারে সিমেন্ট দিয়ে বানানো বাচ্চার মতো হয়েছে। হাত-পাগুলো ঠিক আছে। চামড়াটা সিমেন্টের মতো অনেক শক্ত, খসখসে। আর চোখের মনিটা দেখা যাচ্ছে না, সেখানে লাল মাংস দেখা যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ রকম একটা বাচ্চা এই দম্পতির এক বছর আগেও হয়েছিল। ওই বাচ্চা মারা গেছে। গরীব মানুষতো ডাক্তার দেখায় নাই। আজ বাচ্চাটার মাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। যে মহিলা ডেলিভারি করেছেন তার কাছে বাচ্চাটা আছে।’
সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সায়েমুল হুদা নিউজবাংলাক বলেন, ‘একজন সাংবাদিক আমাকে মেসেঞ্জারে বাচ্চার ছবিটা পাঠিয়েছিলেন। এটা আসলে জিনগত বা জন্মগত সমস্যা। এটাকে বলা হয় জেনেটিক ডিসঅর্ডার। শরীরে জিনের পরিবর্তনের কারণে এটা হয়। এক লাখের মধ্যে এক জন এ রকম হতে পারে। এ ধরনের বাচ্চারা সাধারণত বাঁচে না। জন্মের মাসখানেকের মধ্যে মারা যায়। এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত।’