বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

‘ছবি নয়, কর্মেই পরিচয়’

  •    
  • ২৯ ডিসেম্বর, ২০২০ ১২:১৭

পৌর নির্বাচনে কুড়িগ্রাম সদর থেকে নবম বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন তোতা।

কুড়িগ্রাম পৌরসভার ৩ নম্বর ওর্য়াডের জনপ্রিয় কাউন্সিলর রোস্তম আলী তোতা। ১৯৮১ সাল থেকে এই ওর্য়াডের কাউন্সিলর পদে রয়েছেন ৬৬ বছর বয়সী এই জনপ্রতিনিধি।

সোমবার পৌরসভা নির্বাচনে কুড়িগ্রাম সদর থেকে নবম বারের মতো কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।

‘মুকুল ফৌজ’ নামে একটি শিশু সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সামাজিক কাজ শুরু করেছিলেন তোতা। সেই থেকে সব বয়সীদের সঙ্গে হৃদ্যতা গড়ে তোলেন তিনি।

‘১৯৭৯ সালে কমিশনার পদে উপনির্বাচনে পরাজিত হয়ে বুঝতে পারি মানুষের ভালোবাসা অর্জন ছাড়া জনপ্রতিনিধি হওয়া সম্ভব না। তাই মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনে নিবেদিত প্রাণ হয়ে কাজ শুরু করি’, বলেন তোতা।

১৯৮১ সালে প্রথম বারের মতো বিপুল ভোটে জয়ী হন তিনি। এরপর আর হারেননি তিনি।

স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে নিয়ে তার সংসার। বড় মেয়ের বিয়ে হয়েছে। অন্য দুই জন স্নাতকের শিক্ষার্থী।

জেলা শহরের মিস্ত্রিপাড়ায় ১২ শতক জমিতে টিনশেডের বাড়ি তোতার।

পৌর নির্বাচনে কাউন্সিলর ১৩ জন প্রার্থীর মধ্যে একমাত্র তারই ছবিহীন পোস্টার ছিল। বিগত নির্বাচনগুলোতেও পোস্টারে ছবি ব্যবহার করেননি। তার দাবি, ছবি নয়, কর্মেই পরিচয়।

রোস্তম আলী তোতা জানান, শরীর যতদিন ভালো থাকবে, ততদিন মানুষের পাশে থাকবেন।

৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শাপলা রাণী বলেন, ‘তোতা চাচার বিরুদ্ধে কাইও (কেউ) দাঁড়াইলে জিতপার পাবার (পারবে) নয়। যামরা (যারা) দাঁড়াইবে তামার (তাদের) জামানত হারাই (হারাবে)।’

এ ওয়ার্ডের আরেক বাসিন্দা বুলবুলি আক্তার বলেন, ‘তোতা চাচা ভোটের সময় কোনো নির্বাচনি কথা দেয় না। তিনি সৎভাবে মাইনষের পাশত থাকে। পৌর এলাকার ছোট-বড় সগাই তোতা নামেই তাক চেনে। তিনি শুধু হামার ওয়ার্ডের নুয়াই (নয়), সগার (সবার) কাছত সমান।’

পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মফিজ উদ্দিন বলেন, ‘এক জন কাউন্সিলর হইয়াও তোতার জীবন একদম সাদামাটা। সগাই তাক শ্রদ্ধা করত।’

গৃহবধূ কবিতা রানী জানান, শিশুদের টিকা দেয়া, জন্ম নিবন্ধন, পুষ্টিভাতাসহ সব কাজই সুষ্ঠুভাবে করে দেন তোতা। নির্বাচিত হওয়ার পরও স্বাভাবিক দিনের মতো খোঁজখবর রাখেন।

জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং অফিসার জাহাঙ্গীর আলম রাকিব বলেন, ‘কুড়িগ্রাম পৌরসভায় মোট ৫৬ হাজার ৩৯৭ জন ভোটার। ২৮ ডিসেম্বর প্রথম দফা নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৩৬ হাজার ৮৯৬টি। শতকরা হিসেবে ৬৫ দশমিক ৫ ভাগ।

‘প্রথম দফা নির্বাচনে মেয়র পাঁচ জন, কাউন্সিলর ৩৯ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ১৩ জন প্রার্থী অংশ নেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডে রোস্তম আলী তোতা দুই হাজার ৬১০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।’

এ বিভাগের আরো খবর