দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় এক মাদ্রাসাছাত্রীর বাল্যবিয়ে পণ্ড করে দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)।
উপজেলার মুকুন্দপুর ইউনিয়নের মল্লিকপুর গ্রামে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
মেয়ের বাবাকে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। ২১ বছর বয়সী বরকে দেয়া হয় ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড।
বর আলফাজ হোসেন মুরাদ একই উপজেলার শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা। মেয়েটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, মল্লিকপুর গ্রামে বাল্যবিয়ের আয়োজনের খবর পেয়ে সেখানে লোক পাঠিয়ে বিয়ে বন্ধ করতে বলা হয়। তারপরও তারা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিল। পরে বিষয়টি ইউএনওকে জানালে তিনি গিয়ে বিয়ে বন্ধ করে দেন।
ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল কুমার সরকার বলেন, ‘বাল্যবিয়ের খবরে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। মেয়ের বয়সের কাগজ যাচাই করে দেখা যায় সেটি বাল্যবিয়ের আওতায় পড়ে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বর ও মেয়ের বাবাকে ইউএনও কার্যালয়ে আনা হয়। ভ্র্যাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেবেন না শর্তে বাবার মুচলেকা নেয়া হয়। আর বরকে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।’