বরিশালের যে দুটি পৌরসভায় নির্বাচন হয়েছে, সেগুলোতে বড় ব্যবধানে জিতেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি একটিতে দ্বিতীয় হলেও আরেকটিতে হয়েছে তৃতীয়।
বাকেরগঞ্জ পৌরসভায় আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী লোকমান হোসেন ডাকুয়া জিতেছেন সাত হাজার ৪১ ভোট পেয়ে।
এখানে বিএনপি প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আসতে পারেনি। দ্বিতীয় হয়েছেন ইসলামী আন্দোলনের খলিলুর রহমান। তিনি হাতপাখা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন দুই হাজার ৪১১ ভোট।
ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির এস এম মনিরুজ্জামান ৯১৪ ভোট পেয়ে হয়েছেন তৃতীয়।
এই পৌরসভায় ১৫ হাজার ৩০৪ ভোটারের মধ্যে রায় দিয়েছেন ১০ হাজার ৯৭ জন। এর মধ্যে নষ্ট হয়েছে ৩১টি ভোট।
পৌরসভায় ১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন আবুল কালাম, ২ নম্বর ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আগেই জিতেন খন্দকার জিয়াউর রহমান রিপন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন সুজন দেবনাথ, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সেলিম রেজা, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে আমিরুজ্জামান রিপন, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে মোকলেছুর রহমান, ৭ নম্বর ওয়ার্ডে খান মোহাম্মদ সেলিম, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে জগদীশ মিত্র এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে নির্বাচিত হয়েছেন নজরুল আকন।
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে জিতেছেন অঞ্জু রানী, ২ নম্বর ওয়ার্ডে বানু বেগম এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডে আনোয়ারা বেগম।
উজিরপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের গিয়াস উদ্দিন বেপারী জিতেছেন পাঁচ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়ে।
নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির শহিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৭৬৫ ভোট। ইসলামী আন্দোলনের কাজী শহীদুল ইসলাম পেয়েছেন ৬১০ ভোট।
উজিরপুর পৌরসভায় আওয়ামী লীগের গিয়াস উদ্দিন বেপারী জিতেছেন পাঁচ হাজার ৭০৫ ভোট পেয়ে।
পৌরসভায় ভোটার সংখ্যা ১১ হাজার ৯২৪। এর মধ্যে ভোট দিয়েছেন সাত হাজার ১৩২ ভোট।
১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন অসীম ঘরামী, ২ নম্বর ওয়ার্ডে হেমায়েত উদ্দিন, ৩ নম্বর ওয়ার্ডে নাসির সিকদার, ৪ নম্বর ওয়ার্ডে নজরুল ইসলাম মামুন, ৫ নম্বর ওয়ার্ডে মজিবর রহমান, ৬ নম্বর ওয়ার্ডে হাকিম সিকদার ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে রিপন মোল্লা বিনা প্রতিদ্বন্দিতায়, ৮ নম্বর ওয়ার্ডে খায়রুল ইসলাম এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে খবিরউদ্দিন নির্বাচিত হয়েছেন।
সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরের ১ নম্বর ওয়ার্ডে আঁখি বেগম, ২ নম্বর ওয়ার্ডে শামসুন্নাহার এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডে রানী বেগম নির্বাচিত হয়েছেন।