খুলনার চালনা পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আবুল খায়ের খান ভোট শেষ হওয়ার কিছুক্ষণের আগে মারা গেলেন। তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন।
অবশ্য কারচুপির অভিযোগ এনে কয়েক ঘণ্টা আগে তার পক্ষ থেকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেয়া হয়েছিল।
সোমবার চালনায় ভোটের দিন তো বটেই, প্রচারেও দেখা যায়নি খায়ের খানকে। অসুস্থতার কারণে ভোটও দিতে পারেননি এই প্রার্থী।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে ২৩ ডিসেম্বর খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তার অনুপস্থতিতে নেতাকর্মীরাই করেন গণসংযোগ।
হাসপাতালে বিকেল মারা যান খায়ের খান। তার তিন ঘণ্টা আগে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে অনিয়মের অভিযোগ তুলে বিএনপি প্রার্থীর পক্ষে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তার এজেন্ট আব্দুল মান্নান খান।
খায়ের মারা যাওয়ায় এই পৌরসভায় ভোটের সিদ্ধান্ত কী হবে, সেটা এখনও নিশ্চিত নয়। আইন অনুযায়ী, কোনো প্রার্থী মারা গেলে নির্বাচন স্থগিত করা হয়। তবে শেষ বেলায় এমনভাবে কোনো প্রার্থীর মৃত্যুর উদাহরণ নেই বললেই চলে। আবার তার মৃত্যুর খবর নির্বাচনী এলাকায় যখন আসে, তখন ভোট প্রায় শেষ।
তাহলে সেখানে কী হবে, জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা এম মাজাহারুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে তার মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। কমিশন এখনও সিদ্ধান্ত জানায়নি।’
এর আগে ভোট বর্জনের ঘোষণা নিয়ে বিএনপি প্রার্থীর এজেন্ট মান্নান খান বলেন, ‘আমার প্রার্থী অসুস্থ থাকায় আমি প্রতিটি কেন্দ্রে ঘুরেছি। আমার সামনেই যারা ভোট দিতে যাচ্ছেন তাদের ফিঙ্গার টেস্ট নিয়ে বের করে দেয়া হচ্ছে। তারপর তারা নিজেরা গিয়ে ভোট দিচ্ছে।
‘এই ভোট আমরা করতে চাই না। কারণ আমরা চেয়েছিলাম নিরপেক্ষ নির্বাচন। মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আবার ফিরে আসবে। সরকারের এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে আমাদের দাবি ছিল একটি সুষ্ঠু নির্বাচন। কিন্তু আমরা দেখলাম এই সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে কোনো সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হওয়া সম্ভব না। এ কারণে নির্বাচন থেকে আমরা সরে আসলাম, নির্বাচন বয়কট করলাম।’