সকাল আটটা থেকে বিকাল চারটা পর্যন্ত ২২টি পৌরসভায় ভোট নেয়া শেষ হলেও দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে ও হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে ভোট চলেছে এর পরেও। কেন্দ্রে আসা সব ভোটার নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ভোট দিতে না পারায় চারটার পরেও খোলা থাকে কেন্দ্র।
গত কয়েক বছরের নির্বাচনের তুলনায় সোমবার দেশের ২৪টি পৌরসভায় ভোটের চিত্র ছিল পুরোপুরি ব্যতিক্রম। সকাল থেকেই ব্যাপক ভোটার উপস্থিতি দেখা যায় বেশিরভাগ কেন্দ্রেই। এর বাইরে নয় ফুলবাড়ী ও শায়েস্তাগঞ্জও।
এই পৌরসভায় মোট কেন্দ্র ১০টি। সেখানে চারজন মেয়র প্রার্থীই শক্তিশালী অবস্থানে আছেন। তাদের পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকরা দল বেঁধে আসেন কেন্দ্র।
দুপুরের মধ্যেই ৫৫ থেকে ৬০ শতাংশ ভোট পড়ে বলে জানিয়েছেন নির্বাচনী কর্মকর্তারা।
বিকাল তিনটার দিকেও বেশ কিছু কেন্দ্রে ভোটারের বড় লাইন দেখা যায়, তখনই বোঝা যাচ্ছিল, এক ঘণ্টায় তারা সবাই ভোট দিতে পারবেন না।
তখন কেন্দ্র থেকে তাদের আশ্বস্ত করা হয়, চৌহদ্দির মধ্যে যারা চারটার মধ্যে এসেছে, তারা যত সময়ই লাগুক, দিতে পারবেন ভোট।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা শাহিনুর রহমান প্রামাণিক বলেন, চারটার পরেও প্রতিটি কেন্দ্রে ৪০ থেকে ৬০ ভোটার লাইন ধরে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীতে নির্ধারিত সময় চারটার পরেও ভোটারের এই লাইন দেখা গেছে
তবে জি এম পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার শহিদুল অভিযোগ করেন, ইভিএমে ভোট নেয়ায় টেকনিশিয়ান ও কর্মকর্তারা দক্ষ না হওয়ায় ভোট দিতে দেরি হচ্ছে।
শায়েস্তাগঞ্জে নির্ধারিত সময়ের পর ভোটারের উপস্থিতি ছিল আরও বেশি। সেখানকার নয়টি কেন্দ্রের বেশ কয়েকটিতে সন্ধ্যা পৌনে ছয়টার দিকেও ১০০ জনের মতো ভোটার দেখা গেছে। নির্বাচনি কর্মকর্তাদের ধারণা, এখানে সাতটা থেকে সাড়ে সাতটা পর্যন্ত লেগে যেতে পারে।
সন্ধ্যা পাঁচটা পর্যন্ত এই নির্বাচনি এলাকায় ভোট পড়েছে প্রায় ৬৫ শতাংশ।
ব্যাপক ভোটার উপস্থিতির পাশাপাশি বেশি সময় লাগার আরও দুটি কারণ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। পৌরসভার আয়তনের তুলনায় সেখানে কেন্দ্রের পরিমাণ বেশ কম। আবার প্রথমবার ইভিএমে ভোট হওয়ায় পদ্ধতিটি বুঝতে সময় লেগেছে অনেক ভোটারের। বিশেষ করে বয়স্ক ভোটারদের পরিচয় নিশ্চিত হতে আঙ্গুলের ছাপ দিতে সমস্যা হয়েছে।
সেখানে আঙ্গুলের ছাপে ভোটারের পরিচয় শনাক্ত হলেই কেবল ভোট দেয়ার অনুমতি মেলে।
এবার প্রথমবারের মতো ইভিএমে ভোট হচ্ছে ২৪টি পৌরসভায়। ভোটের আগে ভোটার ও নির্বাচনি কর্মকর্তাদেরকে ইভিএমে ভোট দেয়ার পদ্ধতি শেখানো হয় হাতে কলমে।