চুয়াডাঙ্গায় সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকার পরও পৌরসভা নির্বাচনে ভোট গ্রহণ হয় জমজমাট। প্রথম বার ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভেএম) ভোট দেয়ার আগ্রহ নিয়ে সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলোতে আসতে দেখা যায় ভোটারদের।
সোমবার সকাল ৬টায় জেলার তাপমাত্রা ৮.৩ ডিগ্রি সেলসিয়ার থাকলেও ৯টায় তা নেমে ৭.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়।
জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামাদুল হক জানান, এটিই সোমবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
এর মধ্যেই সকাল ৮টায় সদর পৌরসভায় শুরু হয় ভোট গ্রহণ। তখন থেকেই কেন্দ্রে আসতে শুরু করেন ভোটাররা। তারা বলেন, সূর্যের তাপ থাকায় শীতের তীব্রতা অনেকটাই কমে যায়।
পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিচ্ছেন চুয়াডাঙ্গার এই ভোটার। ছবি: নিউজবাংলা
পৌর এলাকার গুলশান পাড়ার ভোটার সখিনা বেগম বলেন, ‘আগে ভাগেই ভোট দিতে আসছি। কারণ বাসায় অনেক কাজ। রোদ উঠে যাওয়ায় তেমন কষ্ট হয় নাই।’
তবে ভোটারদের মধ্যে মেয়রের চেয়ে কাউন্সিলর প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়েই আগ্রহ দেখা গেছে বেশি। ঈদগাহ পাড়ার ভোটার রমেজ আলী বলেন, ‘মেয়র কে হবেন তা তো জানাই আছে। আমি পছন্দের কাউন্সিলর প্রার্থীকেই ভোট দিতে আসছি।’
প্রথম বার ইভিএমে ভোট দিতে পেরে খুশি প্রভাতী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার শরিফ উদ্দিন।
তিনি জানান, ইভিএমে ভোট দেয়ার অভিজ্ঞতা ভালো। ভোটের পরিবেশও শান্ত।
এই পৌরসভায় মেয়র পদের জন্য লড়ছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির প্রতিদ্বন্দ্বীসহ ৭ প্রার্থী। সংরক্ষিত কাউন্সিলরের ৩টি পদে ১৩ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলরের ৯টি পদে আছেন ৬৪ জন প্রার্থী।
তবে ১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী বিললাল হোসেন বেল্টু গেল বুধবার সকালে মারা যাওয়ায় ওই ওয়ার্ডে সাধারণ কাউন্সিলর পদে নির্বাচন স্থগিত করে নির্বাচন কমিশন।