জালিয়াতি ও ভোট দিতে বাধা দেয়ার অভিযোগ এনে ধামরাই পৌরসভা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু।
সোমবার সকাল ১০টার দিকে পৌরসভার বাগনগরে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সামনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
দেওয়ান নাজিম উদ্দিন মঞ্জু বলেন, ‘আমার নিজের কেন্দ্র ধামরাই সরকারি কলেজ কেন্দ্র। আমি সোয়া আটটায় ভোট দিতে গেছিলাম। গোলাম কবিরের (আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী) ছেলেপেলে আমাকে বাঁধা দিছে। আমাকে ঢুকতেই দেয় নাই।’
দ্বিতীয়বার ভোট দিতে যাবেন কি না এমন প্রশ্নে ধানের শীষের এ প্রার্থী বলেন, ‘আমি যামু ক্যামতে? আমি যাইতেই পারি নাই। আমি যদি বাইরাই আমার সাথে আমার পাঁচ-সাতশ কর্মী বাইর হবে। মিছিল হবে, এখানে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হবে।
‘কাজেই আমি সংঘর্ষ এইড়াতে এখানে বইসা আছি। সংঘর্ষ তো হবেই, আবার মামলা-হামলা খায়্যা আমার কর্মীরা জেলে যাবে। আমি জেলে যামু, দরকার কি?’
নির্বাচন বর্জন করেছেন কি না এমন প্রশ্নে মঞ্জু বলেন, ‘এটা কি ইলেকশন না কি? ওসি সাহেবরে পঞ্চাশবার রিং দিলাম। তাকে পাওয়া যায় না। ভ্রাম্যমাণ ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে লিখিত দিয়া আসছি। এই মর্মে, আমি পুনর্নির্বাচন চাই।’
‘আমি এই নির্বাচন মানি না। এটা প্রহসনের নির্বাচন। ২১টা কেন্দ্র থেকেই আমার এজেন্ট বাইর কইরা দিছে।’
বিএনপির প্রার্থী জালিয়াতির অভিযোগ তুললেও আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী গোলাম কবির মোল্লার ভাষ্য, মানুষ নির্বাচনকে সাদরে গ্রহণ করেছে।
সকালে ভোট দেয়ার পর তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমার মনে হচ্ছে অন্যান্য বারের চেয়ে এবার পৌরসভা নির্বাচনকে মানুষ সাদরে গ্রহণ করেছে। আমি এ পর্যন্ত প্রায় ১০টা কেন্দ্র ঘুরে এসেছি। কনকনে শীতের মধ্যেও মানুষ সকাল সাতটায় ভোট দেয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছে।
‘আমি মনে করছি, দেশের যে উন্নয়ন হচ্ছে তা আরও তরান্বিত করতে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য মানুষ মুখিয়ে আছে।’
বিএনপির প্রার্থীর অভিযোগের বিষয়ে ধামরাই সরকারি কলেজ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার আবুল কালাম আজাদ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার সাথে ওনার (বিএনপি প্রার্থী) দেখা হয় নাই।
‘আমি যখন ওপেন করছি তখন ধানের শীষের এজেন্ট যারা ছিল, তাদেরকে আমি কার্ড দিছি, বসতে দিছি। নৌকার দিছি, সকলকে দিছি। জিরো ভোট যেটা, সেটা তাদের সামনে প্রিন্ট দিয়ে স্বাক্ষর রেখে ওপেন করে দিছি।’
এদিকে বিএনপির মেয়র প্রার্থী নির্বাচন বর্জন করেছেন কি না তা নিশ্চিত করতে পারেনি প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন।
এ বিষয়ে ঢাকা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কমিশনার মুনীর হোসাইন খান বলেন, ‘না, আমি পাই নাই। কোথায় দিয়েছে (পুনর্নির্বাচনের আবেদন) আমিতো জানি না।’