নেত্রকোনার মদন পৌরসভা নির্বাচনে সকালেই ভোট দিতে যান আয়েশা আক্তার।
কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এসে তিনি বলেন, ‘ইবিএমে (ইভিএম) জীবনে পয়লা বুট (ভোট) দিছি। কুব সুজা বুট দিছি। কুনু ঝামেলা অইছে না।’
সোমবার সকাল ৮টায় মদন পৌরসভার ৯ কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট নেয়া শুরু হয়। সকাল থেকেই এখানকার কেন্দ্রগুলোতে দেখা যায় ভোটারদের ব্যাপক উপস্থিতি।
মদনের জাহাঙ্গীরপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ছিল ভোটারদের দীর্ঘ সারি।
কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং অফিসার মাসুদ করিম সিদ্দিকী জানান, কেন্দ্রটিতে ভোটারের সংখ্যা ১ হাজার ২১৯। প্রথম ঘণ্টায় ভোট পড়েছে ১৪৮টি। সকালেই অনেকে ভোট দিতে এসেছেন। তারা শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিচ্ছেন।
ওই কেন্দ্রের ভোটার রীনা আক্তার বলেন, ‘কেন্দ্রের ভিতরে ভোট দেয়নের পরিবেশ বালা। কুনু বেজাল নাই। বুট যে দিছি, বেগ পায়ন লাগছে না।’
শহীদ স্মরণিকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রেও ছিল ভোটারদের ভিড়।
কেন্দ্রটির প্রিসাইডিং অফিসার রায়হানুল হক জানান, কেন্দ্রটিতে তিন হাজার ২৭২টি ভোট রয়েছে। এর মধ্যে বেলা পৌনে ১১টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৩৫২টি।
আব্দুল করিম নামের এক ভোটার বলেন, ‘ইবিএম যন্ত্র দে বুট দিছি। আগে বাবছিলাম, কিম্বা (কীভাবে) বুট দেম। গিয়া দেহি বুট দেয়ন সুজা।’
মদন উপজেলা নির্বাচনি কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম সকাল ৯টার দিকে বলেন, এখন পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। শীত উপেক্ষা করে সকালেই অনেক ভোটার কেন্দ্রে আসছেন; ভোট দিচ্ছেন।
তিনি জানান, পৌরসভাটিতে প্রিসাইডিং, সহকারী প্রিসাইডিং ও পোলিং কর্মকর্তা মিলিয়ে ১২০ জন ভোট গ্রহণের কাজ করছেন।
ভোট গ্রহণ নির্বিঘ্ন করতে ৯ জন নির্বাহী হাকিম, এক জন বিচারিক হাকিমের পাশাপাশি পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
মদন পৌরসভায় ভোটারের সংখ্যা ১২ হাজার ৮৪১। এর মধ্যে ছয় হাজার ৩২৪ জন পুরুষ ও ছয় হাজার ৫১৭ জন নারী ভোটার।
নির্বাচনে মেয়র পদে ৬ জন এবং সংরক্ষিত ও সাধারণ আসন মিলিয়ে ৪০ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন আওয়ামী লীগের সাইফুল ইসলাম, বিএনপির এনামুল হক, স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র দেওয়ান মোদাচ্ছের হোসেন, বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী মাশফিকুর রহমান, জাতীয় পার্টির ক্ষুদিরাম দাস ও ওলামা ঐক্য পরিষদের আবদুর রউফ।