ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে একটি মাজারে অনৈতিক কাজে বাধা দেয়ার জেরে খাদেমের পক্ষের লোকজনের বল্লমের আঘাতে নূরুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
রোববার বিকালে উপজেলার সদর ইউনিয়নের যাত্রাপুর গ্রামের আয়েত আলী শাহর মাজারে এই ঘটনা ঘটে।
নিহত নূরুল ইসলামের বাড়ি একই গ্রামে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাদের জন্য তিন জন নারীসহ চার জনকে আটক করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানিয়েছে, যাত্রাপুর গ্রামের আয়েত আলী শাহর মাজারে প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে গান-বাজনার আসর জমাতেন খাদেম আল-আমীন শাহ। রাতভর মদ, জুয়া ও নারীদের সঙ্গে অনৈতিক কার্যকলাপ চলত। নূরুল এতে বাধা দিতেন।
স্বজনদের অভিযোগ, এর জেরে রোববার বিকাল পাঁচটার দিকে খাদেম আল-আমীন শাহর মামাতো ভাই মোশারফ ও মোয়াজ্জেমের নেতৃত্বে চর-চারতলা গ্রাম থেকে তার অনুসারীরা এসে নূরুল ইসলামের ওপর হামলা করেন। এ সময় বল্লম দিয়ে নূরুলের বুকে আঘাত করা হয়। পরে গুরুতর অবস্থায় নূরুলকে উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত নূরুলের ভাই আজিজুল ইসলামের স্ত্রী সাবেরা বেগম নিউজবাংলাকে জানান, ওই মাজারে অনৈতিক কাজের বাধা দেয়া কাল হয়েছে। মাজারের খাদেমের লোকরা তার ভাসুরকে বল্লম দিয়ে বুকে আঘাত করে মেরে ফেলেছেন।
এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক এবিএম মুছা চৌধুরী বলেন, বল্লমের আঘাতে নূরুলের ফুসফুস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, ‘আমরা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিন নারীসহ চার জনকে আটক করেছি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মামলা দিলে নেয়া হবে।’