বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাসে ধর্ষণচেষ্টা: সাহসী তরুণীতে মুগ্ধ চিকিৎসক

  •    
  • ২৭ ডিসেম্বর, ২০২০ ১৫:২৬

আমার খুব ভালো লেগেছে, আঘাত পেলেও মেয়েটি এখনও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েনি। সে মানসিকভাবে শক্ত আছে। যারা তার সঙ্গে এমন আচরণ করেছে তাদের বিচারের কথাও বলেছে আমার কাছে: সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক হিমাংশু লাল রায়।

বাস থেকে লাফ দিয়ে পড়ায় তিনি মাথায় আঘাত পেয়েছেন। আঘাত লেগেছে হাতেও। আর শনিবার সন্ধ্যায় ঘটে যাওয়া ঘটনায় আঘাত লেগেছে তার মনে। তবে এসব আঘাত তাকে খুব একটা দুর্বল করতে পারেনি। এখনও মানসিকভাবে শক্ত তিনি। হারাননি সাহসও।

বাসের ভেতরে যারা তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালিয়েছিল তাদের বিচারের দাবিও জানিয়েছেন, সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের এই কলেজছাত্রী। যাকে শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট থেকে দিরাইয়ে যাওয়ার পথে চলন্ত বাসে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিল বাসের চালক ও তার সহযোগী। এ সময় বাস থেকে লাফ দিয়ে পড়ে আত্মরক্ষা করেন তিনি।

শনিবার রাতেই তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার দুপুরে তকে ওই হাসপাতালের নারী ও শিশু সুরক্ষা কেন্দ্র ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। তার শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে ভালো বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

রোববার সকালে এই তরুণীকে দেখতে গিয়েছিলেন ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক হিমাংশু লাল রায়। এ সময় তার সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাও বলেন এই চিকিৎসক।

সেই আলাপচারিতার বরাত দিয়ে হিমাংশু বলেন, ‘বুদ্ধিমত্তা ও সাহসিকতার কারণে মেয়েটি রক্ষা পেয়েছে। আমি তার সাহসে মুগ্ধ। মেয়েটি আমাকে জানিয়েছে, বাসের ড্রাইভার তার চুল ও হাত যখন টেনে ধরেছিলেন তখনই সে বুদ্ধি করে জানালা দিয়ে লাফ দেয়।’

বাসে আচমকা এমন ঘটনায় মেয়েটি খুব কষ্ট পেয়েছে জানিয়ে উপপরিচারক বলেন, ‘আমার খুব ভালো লেগেছে, আঘাত পেলেও মেয়েটি এখনও মানসিকভাবে ভেঙে পড়েনি। সে মানসিকভাবে শক্ত আছে। যারা তার সঙ্গে এমন আচরণ করেছে তাদের বিচারের কথাও বলেছে আমার কাছে।’

তরুণীর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘মেয়েটি হাতে ও মাথায় আঘাত পেয়েছে। তবে আঘাত তেমন গুরুতর নয়। সকালে তার সিটিস্ক্যান করা হয়েছে। সেখানে মারাত্মক কিছু পাওয়া যায়নি। এরপর দুপুরে তাকে ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। মানসিক কাউন্সিলিং ও নিরাপত্তার জন্য তাকে ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান হিমাংশু।ওই তরুণীর বোন জামাইও রোববার দুপুরে বলেছেন, তার শ্যালিকার অবস্থা গতকালের চেয়ে আজ ভালো আছে। তার সাথে খারাপ আচরণ করা চালক ও হেলপার গ্রেপ্তার হয়েছে কি না এই তথ্যও তিনি জানতে চেয়েছেন।’

এর আগে শনিবার রাতে ওই কলেজছাত্রীর বাবা দিরাই থানায় অজ্ঞাতপরিচয় তিন জনকে আসামি করে মামলা করেন।এ ঘটনায় রোববার দুপুর তিনটা পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার না হলেও জড়িত ব্যক্তিদের অল্প সময়ের মধ্যে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সুনামগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান।শনিবার সন্ধ্যায় সিলেট থেকে ছেড়ে আসা ফাহাদ অ্যান্ড মাইশা পরিবহনের একটি বাসে দিরাই যাচ্ছিলেন মেয়েটি। তার বাবার ভাষ্য, পৌরসভার সুজানগর এলাকায় বাকি যাত্রীরা নেমে গেলে বাস ফাঁকা হয়ে যায়। এ সময় বাসের চালক ও হেলপার তাকে উত্ত্যক্ত করতে শুরু করে। এক পর্যায়ে দুই জন ধর্ষণের চেষ্টা চালালে আত্মরক্ষায় চলন্ত বাস থেকে লাফ দেন মেয়েটি।স্থানীয়রা আহত মেয়েটিকে দিরাই হাসপাতালে নেয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। শনিবার মধ্যরাতে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বজনরা।

এ বিভাগের আরো খবর